বুথবিমুখ ভোটদাতারা! গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন না ২২ কোটি ভোটার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতের ইতিহাসে সুদীর্ঘ (সবচেয়ে দীর্ঘতম) সময় যাবৎ নির্বাচন, বিপুল অঙ্কের ব্যয় কিন্তু ভোটাররা বুথমুখো হচ্ছেন কই? চার দফা ভোটের পর জানা যাচ্ছে, ২২ কোটি ভোটার ভোট দিতে আসেননি। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করেই উঠে আসছে তথ্য! প্রচার, বিজ্ঞাপন সত্ত্বেও কেন ভোট দিতে অনীহা ভোটারদের?
কমিশন চেয়েও বেশি চিন্তা বিজেপির! এক একটি দফা মিটছে, বিজেপির চাপ বাড়ছে। ভোট কমায় কার্যত দিশেহারা বিজেপি। চার দফায় ৬৭ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটারের বুথে আসার কথা ছিল। কিন্তু ৪৫ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ ২২ কোটি ২৬ লক্ষ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। ৩৩.০৫ শতাংশ মানুষ বুথমুখো হননি।
কমিশন জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছে। কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শচীন তেন্ডুলকরের বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে ভোটারদের ফোনে। আইপিএলের মাঠেও প্রচার চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেট্রো, ট্রেন, বাস, রেডিও তো রয়েইছে। ফুড ডেলিভারি অ্যাপ, এটিএম-সহ মোট ২৬টি উপায়ে প্রচারের কৌশল নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মত, ভোটে অনীহার কারণ কি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা? ভোটদানের হার কম হওয়ায় সরকার নিশ্চিন্ত হতে পারে না। এবার ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৬ কোটি। নতুন ভোটাররা কি ভোট দিয়েছেন, কোনদিকে গিয়েছে তাঁদের মত? গত দু’টি লোকসভা ভোটে যাঁরা পদ্ম পার্টিতে ভরসা রেখেছিলেন, তাঁরা কি এবার বিরত থাকছেন? গেরুয়া শিবির চিন্তিত। প্রথম দফার ভোটদানের সামগ্রিক রিপোর্ট প্রকাশে ১১ দিন সময় নিয়েছিল কমিশন। সময়সীমা কমলেও পরবর্তী দফাগুলিতে দু’দিনের আগে কিছুতেই তথ্য আসছে না। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। বলেছেন, যে হিসেব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা পেয়ে যাচ্ছেন, তা প্রকাশে দু’দিন লাগছে কেন কমিশনের? বিরোধীদের প্রশ্ন, তথ্যে কারচুপি হচ্ছে না তো? সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বলেছেন, চার দফা নির্বাচন হয়ে গেল। এখনও ভোটের হার সামগ্রিকভাবে জানাতে টালবাহানা কেন? গণতন্ত্রের জন্য এটা ভয়ানক। বিজেপি আসলে বুঝে গিয়েছে, ওরা কম আসন পাচ্ছে। তাই এখন সাম্প্রদায়িক বিভাজন শুরু করেছে। ক্ষমতায় আসছে ইন্ডিয়াই।