বামেরা চায়নি ISF-র মতো ছোট দল সংসদে যাক – সেলিমের বিরুদ্ধে তোপ নওশাদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোট এখন প্রায় স্লগ ওভারে, কিন্তু বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোট-জট নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জোট ভেস্তে যাওয়ার দায় কার? সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddiqui) মধ্যে তুঙ্গে উঠেছে বাকবিতণ্ডা।
জোট না হওয়ার জন্য আইএসএফকেই দায়ী করেছিলেন মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim)। ভাঙড়ে যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যর সমর্থনে এক সভায় সেলিম বলেন, জোট নিয়ে তাঁরা নমনীয় থাকলেও আইএসএফ বিধায়কের কারণই তা হয়নি। পালটা নওশাদের দাবি, সিপিএমই চায়নি আইএসএফের মতো ছোট দলকে সংসদে যাক।
ক’দিন আগেই প্রকাশ্যে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেছিলেন, বিমান বসু তথা বামেরা চায়নি বলেই তাদের সঙ্গে জোট হয়নি। কংগ্রেসও চায়নি জোট হোক। পাল্টা মঙ্গলবার ভাঙড়ের সভায় সেলিম বলেন, আইএসএফের তরফ থেকে কোনও ফোন আসেনি। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু দু’মাস ধরে ফোন করেছেন। সেলিমের আরও দাবি, তিনি নওশাদকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছিলেন। কোন আসনে তারা লড়বে জানতে চেয়েছিলেন। কোনও রিপ্লাই আসেনি। সব রেকর্ড আছে, গুজব ছড়ালে হবে না।
আইএসএফ বিধায়কের দাবি, জোটের স্বার্থে শেষপর্যন্ত ৭টি আসনে রফা করতে রাজি হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ওরা (সিপিএম) চায়নি আইএসএফের মতো নতুন দল পার্লামেন্টে যাক। জোটের স্বার্থে বারবার আলিমুদ্দিনে গিয়ে মিটিং করেছেন বলেও জানান নওশাদ। আলিমুদ্দিনের কর্তারা কিন্তু কখনও তাঁদের কার্যালয়ে আসেননি।