শেষ তিন দফার ২৪টি কেন্দ্রে গড় রক্ষা করে লিড বাড়ানোর টার্গেট তৃণমূলের
চার দফা ভোট হয়ে গিয়েছে, বাকি আর তিন দফা। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিন দফায় ভোট হবে ২৪টি কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রগুলো তৃণমূলের গড় হিসেবে চিহ্নিত। আসনগুলিতে জয় সুনিশ্চিত করারই টার্গেট নিয়েছে তৃণমূল।
পঞ্চম দফা ২০ মে, সে’দিন ভোট হবে বনগাঁ, বারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে তৃণমূলের সংগঠন বেশ মজবুত। একুশের বিধানসভা নির্বাচন ও তার পরবর্তী পঞ্চায়েত ভোটে তিন জেলায় ভাল ফল করেছিল জোড়াফুল। উনিশে বিজেপি বনগাঁ আসনটিতে জয়ী হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, মতুয়া সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়েই ভোট লুটেছিল গেরুয়া শিবির। নাগরিকত্বের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। মতুয়ারা বুঝে গিয়েছেন, বিজেপি তাঁদের নিয়ে রাজনীতি করেছে। তৃণমূল নিশ্চিত, মতুয়া ভোট এবার বিজেপি বিরুদ্ধেই পড়তে চলেছে। তৃণমূলের দাবি, সিএএ ইস্যুতে বিজেপিকে যোগ্য জবাবই দেবেন মতুয়া ভক্তরা।
উত্তর ২৪ পরগনায় শিল্পাঞ্চল বারাকপুর; এবার এই অঞ্চলে তৃণমূল সাংগঠনিক দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। বারাকপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে গত বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে ছয়টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। হাওড়া ও উলুবেড়িয়া আসন দুটি ২০০৯ থেকে তৃণমূলের দখলে। উন্নয়ন এবং সাংগঠনিক শক্তির জোরে এবারও দুটি আসন তৃণমূল ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। হুগলি জেলায় শ্রীরামপুর ও আরামবাগ আসন দুটি উনিশে তৃণমূল জিতেছিল, শুধুমাত্র হুগলি আসনটি পেয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, হুগলি আসনেও এবার জোড়াফুল ফুটতে চলেছে। ওই আসনের সাতটি বিধানসভাই তৃণমূলের দখলে।
ষষ্ঠ দফার ভোট তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও
বিষ্ণুপুরে। তৃণমূলের দাবি, দুই মেদিনীপুর এবং জঙ্গলমহল এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার সুফল ব্যাপকভাবে পেতে চলেছে জোড়াফুল। গত বিধানসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় ভালই ফল করেছিল তৃণমূল। সপ্তম বা শেষ দফার ভোট ১ জুন; ওইদিন ভোট হবে দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ আসনে। আসনগুলি তৃণমূলের খাসতালুক হিসেবেই পরিচিত।