কালীপদকে EVM-র দু’নম্বর বোতাম টিপে দু’নম্বরি নেতাদের কষে থাপ্পড়ের নিদান অভিষেকের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের নয়াগ্রামে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল নেতা, “বিজেপির ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড আনতে বলুন। বিতর্ক হোক। এক দিকে আমি থাকব। অন্য দিকে বিজেপির কোনও নেতা। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে তর্ক করতে এলে ভোকাট্টা দিয়ে মাঠের বাইরে বার করে দিতে না পারলে আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। কেউ যদি বলেন, বিজেপি আবাসের টাকা দিয়েছে, তাঁকে বেঁধে রাখবেন। আমি বলে দিয়ে গেলাম। রেকর্ড করুন। এঁরা মিথ্যাবাদী। এক পয়সা আবাসের জন্য দেননি।”
অভিষেক বললেন, “ভোট দিন ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং লক্ষ্মীর ভান্ডারকে সামনে রেখে। কালীপদকে ইভিএমের দু’নম্বর বোতাম টিপে দু’নম্বরি নেতাদের কষে থাপ্পড় লাগান। আমি সকলকে কথা দিয়ে যাচ্ছি, তার প্রতিদান আমি দেব। সার্বিক উন্নয়ন যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় জঙ্গলমহলে, তা সুনিশ্চিত করব। আবার দু’মাস পর দেখা করে সবার সঙ্গে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেব।”
উল্লেখ্য, এদিনই অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ঝাড়গ্রামের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। সে প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “যে কুনার হেমব্রম গত পাঁচ বছর সাংসদ থেকেছেন বিজেপির, তিনিও বলছেন, তফসিলি জনজাতিকে উপেক্ষা করেছে বিজেপি।”
মোদী সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “হিরের উপর জিএসটি শূন্য, রান্নার জিরের উপর জিএসটি বসেছে, এই জনদরদি সরকার বিজেপির নমুনা।” কোচবিহারের বিজেপি নেত্রী দীপা চক্রবর্তী বলেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি নেত্রীর বক্তব্যের অডিও ক্লিপ চালিয়ে সভায় শোনালেন অভিষেক। বললেন, “কথা দিয়ে গেলাম, আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেউ বন্ধ করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী চাইলেও আপনাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবেন না। আমি গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে উর্বর জমির পরিমাণ কম। নয়াগ্রামে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে মাটি কাটলে জলস্তর পাবেন ৫০ ফুট নীচে। আমাদের সরকার পদক্ষেপ করেছে। করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। আগে কী পরিস্থিতি ছিল এই ঝাড়গ্রামের? কখনও বনধ, কখনও হরতাল, কখনও মানুষ মারার রাজনীতি চলেছে। তার পর আপনারা পরিবর্তন আনলেন। তার পর উন্নয়নের জয়যাত্রা চলছে। সর্বত্র আমাদের সরকার কাজ করেছে। ১০ বছরে ১০ পয়সা দিয়ে এখানে সাহায্য করেনি বিজেপি। যিনি ঘর করেছিলেন ১০ বছর, তিনিও বলছেন।”