কতজন CAA-র জন্য আবেদন করেছেন? নাগরিকত্বের কোনও তথ্যই নেই শাহী মন্ত্রকে!
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দেশ জুড়ে নাগরিকত্বের আইন (CAA) চালু করেছে মোদী সরকার। CAA নিয়ে রাজ্য বিজেপির আশা ছিল ভোটে মতুয়া সম্প্রদায়ের সমর্থন। তবে সে আশায় জল ঢেলে উঠে এল নয়া তথ্য। কতজন মানুষ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন? এই প্রশ্নের জবাব যে এড়িয়ে যাবে অমিত শাহের এড়াল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, তা হয়ত কল্পনা করতে পারেনি প্রশ্ন কর্তা।
রানাঘাটের স্কুল শিক্ষক জয়দেব মুখোপাধ্যায় মে মাসের ১৪ তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে তিনটি প্রশ্ন করে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, নাগরিকত্বের জন্য সরকারি পোর্টালে জেলা, রাজ্য ও দেশ থেকে মোট কতজন আবেদন করেছেন? তাঁর প্রশ্ন ছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ এবং ২০১৪-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সরকারি পোর্টালে গত ১৩ মে পর্যন্ত সারা দেশে কতজন তাঁদের আবেদন জমা দিয়েছেন? তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে তার উত্তরে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে শুধুমাত্র সহজলভ্য তথ্য সরবরাহ করা যেতে পারে এবং আরটিআই আইন ২০০৫-এর অধীনে আবেদনকারীকে সরবরাহ করার জন্য তথ্য তৈরি বা সংকলন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বাধ্য নয়। যদি আবেদনকারী এই উত্তরে সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (বিদেশ) তথা প্রথম আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন। অর্থাৎ CAA নিয়ে প্রশ্নের উত্তর কার্যত চেপে দেওয়া হয়েছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়াদের CAA ইস্যু দিয়েই মন জয়ের মরিয়া চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু জয়দেববাবুর প্রশ্নে মোদী সরকারের নাগরিকত্বের তাসের স্বরুপ কার্যত বেরিয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে, নাগরিকত্বের জন্য কতজন আবেদন করেছেন, এই তথ্য যদি মোদী সরকারের কাছে থাকত তাহলে কী দিতে পারতো না? তাঁদের মতে CAA বিষয়টাই পুরোটাই একটা ভাঁওতা।