ভোটের দিনেও প্রকট গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! শান্তনুকে সঙ্গ দিলেন না BJP বিধায়করা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোটের দিনও পিছু ছাড়ল না কোন্দল। বনগাঁয় আরও প্রকট হল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) সারাদিন কল্যাণী ও স্বরূপনগরে পড়ে রইলেন। বনগাঁ উত্তর, দক্ষিণ ও বাগদার বিস্তীর্ণ মতুয়াগড়ে একাই চড়ে বেড়ালেন শান্তনু-ঘনিষ্ঠ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল।
বনগাঁ লোকসভায় একাধিক বিজেপি বিধায়ক থাকলেও, তাঁদের দেখাই গেল না। মনে করা হচ্ছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ভোট-ময়দানে গেরুয়া শিবিরের অনেকেই ছিলেন না। বিজেপির প্রতি ক্ষোভ দানা বেঁধেছে কর্মীদের মধ্যে। বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার এবার প্রার্থী হয়েছেন বারাসত কেন্দ্রে। প্রচারে ব্যস্ত তিনি। বনগাঁয় শান্তনুর প্রচারে তাঁকে দেখা না গেলেও মনে করা হয়েছিল, ভোটের দিন হয়তো এলাকায় সময় দেবেন তিনি। যদিও তেমনটা হয়নি। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার বিধায়ক তথা বিজেপি প্রার্থীর দাদা সুব্রত ঠাকুরকেও দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির অন্দরে কোন্দল নয়া বিষয় নয়। শান্তনুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত দুই বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার ও অসীম সরকারকে লোকসভার টিকিট দিয়েছে বিজেপি। শান্তনুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর প্রাক্তন দুই সাংগঠনিক সভাপতিকে এবার প্রচারে দেখা যায়নি। দলের বর্তমান সভাপতির প্রভাব আবার বিধায়কদের পছন্দ নয়। কর্মীরাও বলছেন বিজেপি বিধায়কদের দেখা যাচ্ছে।