দুয়ারে সপ্তম দফা, বাসের অপ্রতুলতায় নাকাল হবেন শহরবাসী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সপ্তম দফার ভোটের আগেই কলকাতা শহরের ৯০ শতাংশ বাস-মিনিবাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে। ২৩মে কলকাতা থেকে ৪০ শতাংশ বাস-মিনিবাস তুলে নেওয়া হবে। ২৩ মে থেকে ১ জুন, টানা দশ দিন বাসের অভাবে নাকাল হতে পারেন নিত্যযাত্রীরা।
যাঁরা মেট্রোতে যাতায়াত করেন, তাঁদের ভোগান্তি হবে না। বছরের অন্যান্য সময় বাস-মিনিবাস অমিল থাকলে অনেকেই অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করেন। ভোটের কারণে ক্যাবের সিংহভাগ তুলে নেওয়া হচ্ছে। চাহিদা মতো ক্যাবও মিলবে না। নাম মাত্র যা ক্যাব রাস্তায় থাকবে, তার ভাড়া বেশ চড়াই হবে।
পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাতে ভোটে বাহিনী পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ষষ্ঠ দফায় দুই মেদিনীপুরে যাবেন তিন হাজার পুলিশকর্মী। তাঁদের যাতায়াতের জন্য বাসের প্রয়োজন। যার জেরে মানুষের যাতায়াতের জন্য শহরে বাসের সংখ্যা কম থাকবে। সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহার কথায়, কার্যত জোর করেই প্রতি রুট থেকে সব বাস তুলে নেওয়া হচ্ছে। ফলে গণপরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। প্রশাসনকে তাঁরা বারবার অনুরোধ করেছিল, রুট থেকে ৩০ শতাংশ বাস তোলা হোক। কিন্তু তা হয়নি। ফলে ভোগান্তি অনিবার্য।
করোনার পর কলকাতার প্রায় সব রুট থেকে কমবেশি বাস কমে গিয়েছে। নতুন বাস পথে নামেনি। সরকারি বাসেরও একই হাল। ১৫ বছরের সময়সীমার জেরে বহু বাস বাতিল হচ্ছে। রুটে নতুন বাসের জোগান নেই। লোকসভা ভোটে চাহিদা মতো গাড়ির জোগান দিতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে কলকাতা পুলিশকে। পুলিশের দাবি, গাড়ির চাহিদার নিরিখে অতীতের সব ভোটকে ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের ভোট। কলকাতা শহরে বাণিজ্যিক গাড়ির জোগান প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাধ্য হয়ে এবার ব্যক্তিগত গাড়ির দিকে হাত বাড়াতে চলেছে কলকাতা পুলিশ, টাটা সুমো, বোলেরো, স্করপিও, ইনোভাকে টার্গেট করেছে কলকাতা পুলিশ।