একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলা অসম্ভব! তাই কি NDA-কে মজবুত করতে মরিয়া মোদী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুরনো বন্ধুদের কাছে টানতে মরিয়া মোদী! কারণ একটাই, আগাম আভাস মিলেছে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলা কার্যত অসম্ভব। একদা এনডিএতে বিজেপির দাদাগিরির জেরে জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল একাধিক ছোট দল। নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল, চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশমকে ভোটের আগেই জোটে ফিরিয়েছে বিজেপি।
একক গরিষ্ঠতা কি মিলছে না? প্রতি দফার ভোটের সঙ্গে সঙ্গেই কি বিজেপির সংশয় আরও বাড়ছে? বিজেপির ৪০০ পারের স্লোগান উধাও হচ্ছে কেন? বিজেপি বা মোদী ইমেজকে ছাপিয়ে এনডিএকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন মোদী?
ম্যাজিক ফিগার ২৭২। বিগত দুই লোকসভা ভোটে হেলায় মোদী জিতেছেন কিন্তু এবার কেন ঘনাচ্ছে সংশয়ের মেঘ? জেডিইউ ও তেলুগু দেশম ছাড়া যে কয়েকটি দল এনডিএতে ছিল, তাদের কারও ঝুলিতে তিনজন সাংসদও নেই। আপনা দল ছাড়া প্রত্যেকেই এক এমপির পার্টি। ২০১৯ সালে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসন পেয়েছিল। এনডিএ শরিকদের নিয়ে হয়েছিল ৩৫৩। শিরোমণি অকালি দলকে বারবার বিজেপি ফেরাতে চাইলেও, তারা আসেনি। পাঞ্জাবে বিজেপি একটি আসনেও জয় পাবে কি না, সন্দেহ। বিহারে নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু এখন মোদীর প্রধান ভরসা। এই দুই দল ফ্লপ করলে বিজেপির বিপদ বাড়বে।
মঙ্গলবার সাতসকালে ভোটের জন্য দেশবাসীর প্রতি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এনডিএ’র জয়গানেই জোর দিয়েছেন। মোদীর এনডিএ নির্ভরতা নজর করার মতো। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সোমবার পঞ্চম দফার ভোট হয়ে গেল। প্রমাণিত হচ্ছে যে, এনডিএ ক্রমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ভারতবাসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে, কেন্দ্রে তারা শক্তিশালী এনডিএ সরকার দেখতে চায়। অর্থাৎ মোদী হাওয়া নয়, ভরসা এখন এনডিএ। এনডিএ কেন্দ্রিক বিবৃতি সত্যিই শঙ্কা তৈরি করছে। এনডিএ শরিকদের মধ্যে আপনা দল, জিতন রাম মাঝি, উপেন্দ্র কুশওয়া, চিরাগ পাসোয়ান, অজিত পাওয়ার, একনাথ সিন্দেদের নিয়ে কোনও প্রত্যাশা নেই বিজেপির। প্রতিটি দলই খুব বেশি হলে ১ থেকে ৩টি করে আসন পাবে, যা ২০১৯ সালেও পেয়েছিল। অখণ্ড শিবসেনা আর নেই বিজেপির পাশে। শক্তিশালী নীতিশ কুমারও নেই। ফলে এনডিএ বন্দনাতেও নিশ্চিন্ত হচ্ছে না বিজেপি।