মোদী আমলে চাকরির হাহাকার! IIT-র ২০২৪’র ব্যাচের ৩৮ শতাংশ পড়ুয়াই বেকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের অন্যতম অগ্রগণ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। উচ্চশিক্ষায় আইআইটির বিকল্প নেই। মোদী আমলে আইআইটিতেও বেকারত্বের হাহাকার? তথ্য জানার অধিকার আইনে, দেশের আইআইটিগুলির চাকরির বাস্তব ছবি জানতে আরটিআই হয়েছিল। কানপুর আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র ধীরাজ সিং তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! আইআইটির ২০২৪’র ব্যাচের ৩৮ শতাংশ পড়ুয়াই কর্মহীন! তাঁদের চাকরি মেলেনি।
দেশে আইআইটির মোট ২৩টি ক্যাম্পাস রয়েছে, সামগ্রিক তথ্য জানতে চেয়েছিলেন ধীরাজ সিং। জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসিংয়ের জন্য নাম নথিভুক্তি করিয়েছিলেন ২১,৫০০ জন পড়ুয়া। নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১৩,৪১০ জন। ৮,০৯০ জন চাকরি পাননি। ২০২২ সালের নিরিখে বেকার প্রার্থীর সংখ্যা আড়াই গুণ বেড়েছে। ২২ সালের ১৭১ জন এখনও চাকরি পাননি। মোদী জমানায় বেকারত্ব এমন নজির গড়েছে যে, আইআইটির মতো প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও চাকরি পাচ্ছেন না!
শিল্পপতি তথা স্বাধীনতার পর বাংলার অর্থমন্ত্রী নলিনীরঞ্জন সরকারের মস্তিষ্কপ্রসূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি। তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সরকার কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, দেশের চার প্রান্তে চারটি আইআইটি গড়ে তোলা হয়। ১৯৫০ সালে সর্বপ্রথম আইআইটি ক্যাম্পাস তৈরি হয় বাংলার খড়্গপুরে। এরপর একের পর এক আইআইটির তৈরি হয়েছে।
মোদী আমলে বেকারত্ব জাঁকিয়ে বসেছে। নীতি আয়োগ কয়েক বছর আগে রিপোর্টে বলেছিল, ৪৫ বছরের মধ্যে এমন বেকারত্ব দেখা যায়নি ভারতে। অমৃতকাল, বিকশিত ভারতে শুধুই বেকারত্বের হাহাকার। ২০২২ সালের জুনে ঘোষণা করা হয়েছিল, দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরি হবে। মাঝেমধ্যে রোজগার মেলার আয়োজন করে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও প্রার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার। কিন্তু বেকারত্বের কঙ্কাল ঢাকা পড়েনি।