কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

নোটাতেই বিপত্তি! কেন দ্বিগুণ EVM-র প্রয়োজন যাদবপুরে?

May 24, 2024 | 2 min read

ছবি: প্রতীকী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রার্থী না পসন্দ হলে নোটায় ভোট দেওয়া যায়, ২০১৩ সালে তা চালু করেছিল নির্বাচন কমিশন। ইভিএম মেশিনে সবার শেষে থাকে নোটা অর্থাৎ নান অফ দ্য অ্যাভব বা উপরের কেউ নয় অপশনটি। যাদবপুর আসনতে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নোটা। নোটার জন্য পৃথক ইভিএমের প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে। ইভিএমে ১৬টি বোতাম থাকে। ১৫ জন প্রার্থী ও নোটার স্থান থাকে। প্রার্থী সংখ্যা তার বেশি হয়ে গেলে দ্বিতীয় ইভিএমের প্রয়োজন পড়ে। যাদবপুরের ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে, মোট প্রার্থী সংখ্যা ১৬। প্রত্যেকের নাম একটি ইভিএমে নথিবদ্ধ করা হয়ে গিয়েছে। ফলে নোটার জন্য দরকার পড়েছে আলাদা ইভিএমের। যে সংখ্যক ইভিএম গোটা লোকসভা ভোটের জন্য প্রয়োজন, তার দ্বিগুণ মেশিন লাগছে ভোট দেওয়ার জন্য।

জেলা প্রশাসনের চিন্তা বেড়েছে। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী ইভিএম আনা হয়েছিল যাদবপুরের জন্য। কিন্তু মনোনয়ন শেষে আরও ভোটযন্ত্র আনাতে হয়েছে। ফলে খরচ বেড়েছে। অতিরিক্ত ইভিএম বহন করে নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি রয়েছে। স্ট্রংরুমের ক্ষেত্রে জায়গার সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন ঠিক করেছে, বাড়তি ইভিএম একটার উপর একটা রাখা হবে। যে বুথগুলিতে ভোটগ্রহণ হবে, দু’টি ইভিএম পাশাপাশি রেখে ভোট কক্ষ তৈরি করার মতো জায়গা হচ্ছে কি না সেটাও পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ২২১৭। এই সংখ্যক ভোটযন্ত্র ছিলই। নোটার জন্য এবার দ্বিগুণ ইভিএম লাগবে।

কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইভিএম লাগছে। সেখানে প্রার্থীর সংখ্যা ১৭। ফলে ১৬ জনের নাম থাকবে একটি ইভিএমে, এক প্রার্থীর নাম ও নোটা অপশন থাকবে দ্বিতীয় ইভিএমে। প্রসঙ্গত, বাংলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে দু’টি করে ইভিএমের প্রয়োজন হয়েছিল। একটি, মালদা দক্ষিণ। অপরটি রায়গঞ্জ। দুই কেন্দ্রে যথাক্রমে ১৭ এবং ২০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Jadavpur, #EVM, #NOTA, #loksabha elections 2024, #Voters

আরো দেখুন