বাংলাদেশের এমপি হত্যাকাণ্ড: খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে কী করা হয়?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হন নিউটাউনে। খুনের পর রক্ত ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাংসের টুকরো সাফ করতে নিউটাউনের ফ্ল্যাট অ্যাসিড দিয়ে ধোয়া হয়। ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে গোটা ফ্ল্যাট মোছা হয়। তদন্তকারীরা যাতে রক্তের নমুনা না পান, তা নিশ্চিত করতেই এমনটা করা হয়। ডিএনএ প্রোফাইলিং ঠেকানোও ছিল লক্ষ্য। অত্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক কাজটি করা হয়। খুনের ঘটনায় ধৃত কসাই জিহাদকে জেরা করে জানতে পেরেছে সিআইডি। জিহাদ জানিয়েছে, এমপির দেহাংশ ফেলা হয়েছে বাগজোলা খাল ও রাজারহাটের একটি ভেড়িতে।
জিহাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশে থাকাকালীন অন্য একটি খুনের ঘটনায় ধরা পড়ার পর সে জেনেছিল, তদন্তের জন্যে রক্তের নমুনা পাওয়াটা কতটা জরুরি! তাই রক্তের চিহ্ন লোপাট করতেই সে’ এমনটা করেছিল। এমপি খুনের সুপারি নেওয়া সৈয়দ আমানুল্লা ওরফে আমান তাকে প্রমাণ লোপাট করার নির্দেশ দেয়। নিউটাউন এলাকার আক্সিস মলের এক দোকান থেকে ১৫ বোতল অ্যাসিড ও ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার কিনে রেখেছিল জাহিদ ও সিয়াম। মলের সিসি ক্যামেরায় তাদের ছবি ধরা পড়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ১৪ তারিখ দেহাংশ টুকরো টুকরো করে প্যাকেটে ভরে ফেলার কাজ শেষ হয়। জাহিদ সিআইডিকে জানিয়েছে, দেহাংশের সঙ্গে অন্য মাংসও মেশানো হয়। যাতে কোনও কারণে দেহাংশ ভর্তি প্যাকেট পাওয়া গেলে, সেটি কীসের তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
ঘর সাফ করে তারা বাগজোলা খালের দিকে যায়। দেখে আসে জলের স্রোত কেমন। নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ফিরে জিহাদ বাকিদের জানায়, খালে দেহাংশ ফেলা যেতে পারে। ১৫ মে বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার সময় আনোয়ার ও সিলিস্তা দেহাংশ ভর্তি বেশ কিছু প্যাকেট সেখানে ফেলে দিয়ে যায়। জিহাদ জেরায় জানিয়েছে, এরপর সে এবং সিয়াম গিয়ে প্যাকেট ভর্তি আরও কিছু দেহাংশ ফেলে আসে খালে। কলকাতা ছাড়ার আগে সে, ফয়সল সাজি ও মুস্তাফিজুর গাড়ি ভাড়া নিয়ে রাজারহাট এলাকায় যায়। সেখানকার একটি ভেড়ির মধ্যেও দেহাংশ ফেলা হয়।