মোদী ‘হারাতঙ্ক’ রোগে ভুগছেন – যাদবপুরে কটাক্ষ মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল ধেয়ে আসছে, পদযাত্রা বাতিল করলেও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের জোড়াফুল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামঞ্চ থেকেই রেমাল নিয়ে সতর্ক করে মমতা বলেন, “সন্ধে ৬টার পর থেকে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। একদিন চলবে। ভয় পাবেন না, কিন্তু সাবধানে থাকবেন।কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গেলে অযথা চিন্তা করার কারণ নেই। পর্যাপ্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।”
পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ন্যূনতম সময় প্রয়োজন, রাজ্যবাসীকে ধৈর্য্য রাখার আবেদন জানান তিনি।
এদিন মঞ্চ থেকে মোদী কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী এখন হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এনডিএ সরকার কেন্দ্রে আসছে না বলেও মনে করেন তিনি। মমতা বলেন, “জানি না সঠিক ভোট বাক্সে কী আছে? তবে এখনও হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন।…নির্বাচনে হারবে বলে হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন। থরথর করে কাঁপছেন। যেখানে গিয়ে মিটিং করছেন, সেখানেই বাংলার কথা বলছেন। বেনারসে গিয়ে মিটিং, সেখানেও বাংলার কথা। আমি বলবো, মোদীবাবু আপনি একটু পড়াশোনা করুন।”
নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ শানান তিনি। মমতা বলেন, “কাল নন্দীগ্রামে দেখেছেন, লজ্জা নেই গদ্দারের। নিজের এলাকা জিততে পারে না। আমার ভোটের সময়ও তাই করেছে। পুরোটাই লুঠ করেছে। যখনই ওই এলাকায় নির্বাচন হয়, নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ডিএম-আইসি পরিবর্তন করা হয়।” মমতার দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড় করিয়ে ভোট লুঠ করা হয়েছে।
নির্বাচনী সভা থেকে সোনারপুরের বেশ কিছু কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি নিজেদেরকে শুধরে নিন। মমতা বলেন, “দু-একজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ আছে। আমি তাঁদের বলবো, হয় শুধরে নেবে, না-হলে আমি শুধরে দেব। আমি কিন্তু খবর রাখি, মনে রাখবেন আমিও জনগণের ঊর্ধ্বে নই।”
মমতা আরও বলেন, “যাদবপুর আমার প্রাণের কেন্দ্র। এখন থেকেই আমার রাজনীতির জন্মলগ্ন শুরু হয়েছিল। এই যাদবপুর আমায় কোনওদিন ফেরায়নি। আমি জানি, আমায় আপনারা ফেরাবেন না। আপনারা আমায় লড়তে দিন।’
দলীয় প্রার্থীর পরিচয় করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, “আমার প্রার্থী সায়নী। আগের বার আপনারা অতটা সার্ভিস পাননি। সায়নী এলাকায় পড়ে থেকে লড়াই করবে এবং দাঁতে দাঁত দিয়ে উন্নয়নের কাজে করে যাবে। আগেরবার তাঁর (মিমির) অবশ্য কোনও দোষ ছিল না। তিনি নিজের ফিল্ম জগতে ব্যস্ত। এটা আমাদেরই দোষ ছিল। সে জন্য আমরা শুধরে নিয়েছি।”