বিরোধীদের আক্রমণ করতে শালীনতার মাত্রা পেরোলেন মোদী! কী বলছে ইন্ডিয়া জোট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী ফিরে গিয়েছেন ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিতে। পাশাপাশি বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে লাগাতার শালীনতার সীমা পেরোচ্ছেন তিনি। শনিবার বিহারের পাটলিপুত্রের এক সভায় তিনি ‘ইন্ডিয়া’কে কার্যত বাঈজির তকমা দিলেন। মোদী বললেন, বিরোধীরা যতই মুজরা করুক, তিনি বেঁচে থাকতে সংরক্ষণ বন্ধ হবে না। দলিত অথবা অনগ্রসরদের সংরক্ষণ বন্ধ করতে দেবেন না। মোদীর এহেন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিরোধী জোট প্রশ্ন তুলেছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখে কি এই ভাষা শোভা পায়?
দিন দিন মোদীর ভাষণে জায়গা করে নিচ্ছে বিদ্বেষ, কেবল ধর্ম নয়, প্রাদেশিক বিভাজন ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছেন মোদী। এদিন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন বিহারবাসীকে অপমান করে কথা বলছেন। তিনি বিহারী বিরোধী। অথচ আরজেডি কিংবা কংগ্রেস কোনও প্রতিবাদ করছে না। আরজেডি নিজেদের প্রতীক নিয়ে মুজরা করছে, অথচ তাদের বিহারীদের এই অপমানের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।”
রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর মুখের ভাষা এবং বিজেপির আসন, দুটোই লাগাতার খারাপের দিকে যাচ্ছে।” তৃণমূল মুখপাত্র শশী পাঁজা বলেছেন, “আমাদের সংস্কৃতিতে এরকম ভাষার স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।” কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেছেন, মোদীজি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর মস্তিস্ক এমন সব ভাষা উপহার দিচ্ছে যে, প্রমাণিত হচ্ছে তিনি শালীনতার ভারসাম্য হারিয়েছেন। আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষাতেই স্পষ্ট যে, একদিকে তিনি ভয় পেয়েছেন। তাই নিজের প্রকৃত চেহারা নার্ভাস হয়ে প্রকাশ করে ফেলছেন। উন্নয়ন বা সাধারণ মানুষের ইস্যু ছাড়া মোদীজি এখন সরাসরি বিদ্বেষ, অপশব্দ এবং ঘৃণার রাজনীতি করছেন। আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর এখনই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত!