মাঝরাতে ভয়ঙ্কর তাণ্ডব রেমালের, সুন্দরবনে সাইক্লোন আতঙ্ক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মতো রবিবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ল ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে গভীর রাতে কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগরে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। রাতের দিকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দাপট দেখা যায় কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। ঝড়ের দাপট বাড়তেই উপকূলবর্তী একাধিক এলাকা সহ মোট ৯টি জেলায় এনডিআরএফের ১৪টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
নবান্ন সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই প্রায় ১,৪০,০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রাত পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ২৮,০০০ ও হাওড়ায় ১,৩০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় সংখ্যাটা ৩১,৮৪৭। কলকাতায় ১৬০ ও হুগলিতে ৩৯১ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নবান্ন ও উন্নয়ন ভবনে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হয় রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ। এর প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গ ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কমলা সতর্কতা থাকছে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলায়। নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে লাল সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিমি হবে ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তা পরিণত হবে নিম্নচাপে।