রেমাল-এ আয়লার ছায়া দেখেছেন আবহাওয়াবিদরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মে মাসে বঙ্গে ধেয়ে এসেছে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়, পনেরো বছর আগে; এমনই এক মে মাসে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ তান্ডব লীলা চালিয়েছিল আয়লা। বাংলাদেশেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। তীব্র মাত্রার ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়েছে রবিবার মধ্যরাতে। আয়লার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার। রেমালের ক্ষেত্রেও ঝড়ের গতি সেরকমই। আয়লার কেন্দ্র কলকাতার উপর দিয়ে গিয়েছিল বলে ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১৪ কিলোমিটার ছুঁয়েছিল। রেমাল এতটা তীব্র হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়া সবথেকে তীব্র ঘুর্ণিঝড় ছিল আমফান, ২০২০ সালের ২০ মে আমফানের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র কলকাতার কাছাকাছি এলাকা দিয়ে গিয়েছিল। শহরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার অবধি পৌঁছেছিল।
আবহাওয়া অফিসের অনেকেই বলছেন, আয়লা ও রেমালের গতিপ্রকৃতি একরকম। মংলা বন্দর বাংলার উপকূলের থেকে খুব দূরে নয়। তবে আয়লা যেমন পুরোপুরি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে গিয়েছিল, রেমালের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
আয়লায় কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৪ কিলোমিটার। রেমালে শহরে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে। স্থলভূমিতে ঢোকার পর ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হতে শুরু করেছে। কিন্তু এর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দাপট চলতে থাকছে।