নরেন্দ্র মোদীর আমলে একশো দিনের কাজে কমেছে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা, বলছে সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একশো দিনের কাজে রকেট গতিতে কমেছে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, দু’বছরে আট কোটির বেশি শ্রমিকের নাম বাদ পড়েছে! মঙ্গলবার যৌথভাবে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে লিবটেক ইন্ডিয়া নামে একটি সংগঠন ও এনরেগা সংঘর্ষ মোর্চা। এমনিতেই বেকারত্বে ৪৫ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করেছে ভারত। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে এই রিপোর্ট নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
‘আনপ্যাকিং মনরেগা: ফাইভ ইয়ার্স অব ইমপ্লিমেনটেশন অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ২০১৯-২০২৪’ শীর্ষক রিপোর্টে আঙুল তোলা হয়েছে প্রযুক্তি নিয়ে কড়াকড়ি ও বাজেট বরাদ্দ হ্রাসের দিকে। সমীক্ষকদের বক্তব্য, কাজ করেও দীর্ঘদিন ধরে টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। ফলে আগ্রহ হারাচ্ছেন তাঁরা। এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও টানছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। রাজ্যের শাসক দল বারবার অভিযোগ করছে, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর থেকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদীজি যতই ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে শোরগোল করুন, দেশের প্রান্তিক এলাকায় এখনও প্রযুক্তির আলো পুরোপুরি পৌঁছতে পারেনি।
২০২৩ সালে জানুয়ারি মাস থেকে মোদী সরকার ডিজিটাল হাজিরা বাধ্যতামূলক করেছে। সেই সঙ্গে চালু হয়েছে আধার ভিত্তিক পেমেন্টও। কিন্তু প্রান্তিক মানুষদের একটা বড় অংশ এই বৃত্তে প্রবেশ করতে পারেনি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আধার ভিত্তিক পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুর পর বিগত চারমাসে মোট নথিভুক্ত শ্রমিকদের ৬৯ শতাংশ নয়া প্রক্রিয়ায় পারিশ্রমিক তুলতে পেরেছেন। লিবটেক ইন্ডিয়ার সিনিয়র রিসার্চার রাহুল মুক্কেরার বক্তব্য, বিগত পাঁচ বছরে মোদী সরকারের প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থায় জোর দেওয়ার সমস্যার মুখে পড়েছেন ১০০ দিনের শ্রমিকরা।