রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

প্রতিবছর নিয়ম করে মে মাসেই কেন আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়, উত্তর খুঁজছেন পরিবেশবিদরা

May 31, 2024 | 2 min read

প্রতিবছর নিয়ম করে মে মাসেই কেন আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় আগে যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় এসেছিল তার ইতিহাস বলছে সিংহভাগ ক্ষেত্রে মে মাসেই এসেছে ঘূর্ণিঝড়। ২০০৯ সালের ২৫শে মে আয়লা এসেছিল বাংলায়। ২০১৯ সালে এসেছিল ফণি। আমফান এসেছিল এই মে মাসেই। আবার এই ২৬শে মে এসেছিল ইয়াস। এবার এসেছে রেমাল। সেই ২৬শে মে।

কিন্তু বারবার মে মাসেই কেন এত ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হচ্ছে? সেব্যাপারে আবহাওয়াবিদরা বলেন, এপ্রিল মাসে টানা তাপপ্রবাহের পর মে মাসেও সূর্যের তাপে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। এই সময় আকাশে মেঘের আনাগোনা বেশ কম থাকে। ফলে সূর্যের তাপ ভূখণ্ড তো বটেই, সমুদ্রের জলকে অস্বাভাবিক উত্তপ্ত করে তোলে। এই ধরনের আবহাওয়ায় মে মাসে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করছে। গত চার বছরে একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় উম-পুন, ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় যশ, ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখা আছড়ে পড়েছিল মে মাসেই। এবারও ঘূর্ণিঝড় রেমাল বঙ্গোপসাগরের যে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সাধারণত সাগরের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেই সেখানে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির মতো পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে ঘূর্ণিঝড় রেমাল সৃষ্টি হওয়ার পর খুব দ্রুত উপকূলের দিকে এগিয়ে আসে। আবহাওয়াবিদরা আরও বলছেন, সাধারণত এপ্রিলে বঙ্গোপসাগর এলাকায় তাপপ্রবাহ থেমে থেমে আসে। দেশের মাঝের ভূখণ্ডে কালবৈশাখী ও সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়। এরফলে বায়ুমণ্ডলে জমে থাকা তাপ কমে আসে। কিন্তু গত এক যুগ ধরে সাগরে নিম্নচাপের প্রবণতা কমে যাচ্ছে। নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তা দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। এর আগে ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই ধরনের আবহাওয়া দেখা গিয়েছিল। ওই সময় এপ্রিলে প্রচণ্ড উষ্ণতা আর মে মাসে প্রায় প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় হতো।

জলবায়ু ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন মে মাস সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ হয়ে উঠছে। এর ফলে চাষিরা পড়েছেন ব্যাপক সমস্যায়। আম পাকার আগের মুহূর্তে প্রায় প্রতিবছরই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আম চাষিরা। কীভাবে এই ক্ষতি থেকে বাঁচবেন, তারই উপায় খুঁজছেন চাষিরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #cyclone, #Environmentalists

আরো দেখুন