সকাল থেকে ফাঁকা, বেলা গড়াতেই লাইন পড়ল কলকাতা উত্তরের ভোটগ্রহণকেন্দ্র গুলিতে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সকালটা মোটামুটি ভোটারদের আঙুলের অপেক্ষাতে থাকল ইভিএম, বেলা গড়াতেই জমতে শুরু হল লাইন। মোটের উপর কলকাতা উত্তরের ভোটের ছবিটা এমনই। বাগবাজারের স্কুল থেকে বেলেঘাটার গুরুদাস কলেজ, ছবিটা একই। সকালে ফাঁকা ফাঁকাই থাকল বুথ। দু-এক জন এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। উত্তর কলকাতার যে সব এলাকায় বিভিন্ন ধর্ম ও ভাষাভাষী মানুষ ও মূলত নিম্নবিত্ত মানুষের জনবসতি বেশি, সেখানে সকাল থেকেই উৎসাহের সঙ্গে ভোটদান চলেছে।
সকাল ১০টার নাগাদ কলকাতা উত্তরে ভোটদানের হার ছিল মাত্র ৮.৯২ শতাংশ। দক্ষিণের বুথগুলিতে কিন্তু শুরু থেকে ভোটারদের ভিড় ছিল। উত্তরের রাজাবাজার, এন্টালি, ট্যাংরা, বড়বাজার, কাশীপুর, বেলগাছিয়ার মতো কিছু জায়গায় সকাল থেকে বুথে বুথে ভিড় ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার পর উত্তরের ছবিটা বদলায়। পৌনে ১২টা নাগাদ ভোটের হার হয় ২৪.০২ শতাংশ। দেড়টা নাগাদ ভোটদানের হার ৩৯.৪৮ শতাংশে পৌঁছয়। বউবাজার এলাকার এক কাউন্সিলারের কথায়, উত্তরে এমনিতেই সকালের দিকে ভোট কম হয়। কাজকর্ম সেরে মহিলারা পরে ভোট দিতে বেরন। বয়স্ক বা অসুস্থ ভোটারদের জন্য হুইলচেয়ার, অটোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
ভোটদানের হার কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে অনেকেই বলছেন, গিরীশ পার্ক, বাগবাজার, কলেজ স্ট্রিট সহ বিভিন্ন এলাকার বহু পুরনো বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গিয়েছেন। কেউ কেউ কলকাতার বাইরে থাকেন এখন। তাঁদের অনেকেই মানুষ বেলা করে ভোট দিতে এসেছেন। কেউ আবার আসেনইনি।