মোদী শক্তি হারাচ্ছেন! BJP অন্দরের ক্ষমতা ভরকেন্দ্র কি পাল্টাবে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একা হাতে দলের বোঝা টানতেন তিনি, হারা ম্যাচও জিতিয়ে দিতেন! কিন্তু তিনিই কি খোদ দলের বোঝা হয়ে যাচ্ছেন? মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ সংবাদ শিরোনামে দেখা গেল মোদী পিছিয়ে আছেন! খানিকক্ষণের বিরল হলেও বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল জনতা। মোদীও পিছিয়ে থাকতে পারেন! গত দশ বছরে মোদীর মুখের উপর ভরসা করে একের পর এক রাজ্য এবং কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। মোদী দুর্বল হতেই কাঁপছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার। আতঙ্কের কারণ, বিজেপি সরকার টিকবে তো?
জোট শরিকদের খুব একটা গুরত্ব দেন না মোদী। এদিকে শরিকরা সঙ্গ না দিলে সরকার সংখ্যালঘু হবে, যখন-তখন পতনও হতে পারে। দুই নেতা, চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতিশ কুমার হবেন নয়া মোদী সরকারের চালিকাশক্তি। মোদী কি শরিকদের কথা শুনবেন? না-কি সরকার বাঁচাতে বিজেপি ও সঙ্ঘের মধ্যে মোদীর বিকল্প খুঁজে রাখার গোপন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মোদীর দাপট আর থাকবে না, ফলে নতুন মুখ তৈরি থাকা দরকার। মোদী-শাহ জুটি বিজেপির প্রধান পরিচালক থাকবেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। বিজেপির মধ্যে মোদী বিরোধী অংশ ফের সক্রিয় হচ্ছে। নাড্ডার বাসভবনে রাজনাথ সিং ও অমিত শাহ বৈঠক করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ল! যোগী বনাম মোদীর গোপন ইগোর লড়াইয়ের প্রভাব কি ভোটে কাজ করেছে? কোনও অন্তর্ঘাত কাজ করেছে? প্রশ্ন উঠছে। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির অন্দরের খবর, অমিত শাহকেই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু মোদী দুর্বল হলে অমিত শাহ দুর্বল হবেন। যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, শিবরাজ সিং চৌহানদের রাজনৈতিক গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য মোদীর দুর্বল হওয়া প্রয়োজন। ফলে এবার কি মোদী যুগের অবসান ঘটবে?