দিল্লির কুর্সিতে কে? আজ বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’, নাইডু-নীতিশ কি গদির লড়াই জমিয়ে দেবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিজেপি একক গরিষ্ঠতা পায়নি, ভরসা এখন শরিকরা! অন্যদিকে, ইন্ডিয়া কি হাল ছেড়ে দিচ্ছে?
মঙ্গলবার দেশের রায় সামনে আসতেই রাহুল ঘোষণা করলেন, ভোটের ফলই বুঝিয়ে দিয়েছে, দেশের মানুষ মোদীজিকে চান না। তিনি বললেন, তিনি (কংগ্রেস) বিরোধী বেঞ্চে বসুক বা সরকারে, ভারতের যে জনতা সংবিধান রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন, তাঁদের পাশেই থাকবেন। ‘ইন্ডিয়া’র অন্য শরিকরাও ইঙ্গিত দিচ্ছেন, সরকার গড়ার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন তাঁরা। মোদীর দল ম্যাজিক ফিগার ২৭২ ছুঁতে পারেননি। অন্যদিকে বিরোধী মহাজোট খুঁজছে নতুন বন্ধু। কংগ্রেস নিজেদের ৯৯ আসনকে সরিয়ে রেখে ‘ইন্ডিয়া’র অঙ্কের জন্য ঝাঁপাচ্ছে।
তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডির মতো শরিকদের আসন মিলিয়েও ম্যাজিক ফিগার হচ্ছে না। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমার যদি ‘ইন্ডিয়া’য় যোগ দেন, তখন লড়াই জমবে। সে’চেষ্টা শুরু হয়েছে। আজ, বুধবার জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে, নতুন শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। জানা যাচ্ছে, সব শরিকের প্রতিনিধিই থাকবেন বৈঠকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, সংবিধান অটুট রাখার যে লড়াই লড়ছেন, তা চালিয়ে যাবেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও জানান, বিজেপির সঙ্গে ইন্ডিয়ার সংখ্যার ফারাক কম। তাই নতুন শরিকদের দলে টেনে কীভাবে সরকার গড়তে পারা যায় কিনা, সেই লক্ষ্য থাকবেই। আজ ছ’টায় বৈঠক দিল্লিতে, ইতিমধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়া, সুপ্রিয়া সুলে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন যোগ দিতে পারেন আজকের বৈঠকে।