শুভেন্দুকে সরাতে দিলীপকে উপনির্বাচনে জিতিয়ে বিরোধী দলনেতা করতে চায় RSS?
ধাক্কা খেতেই শুভেন্দুকে সরিয়ে দিতে মরিয়া সংঘ। শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতিয়ে দিলীপ ঘোষকে বিরোধী দলনেতা করতে চায় আরএসএস। সংঘের প্রস্তাবকে সমর্থন করছে বঙ্গের আদি বিজেপি।
জুন মালিয়া সাংসদ হয়েছেন, বিধায়ক পদে শীঘ্রই ইস্তফা দেবেন। রাজ্যের অন্য ১০টি বিধানসভা আসনের সঙ্গে সঙ্গে মেদিনীপুর আসনেও উপনির্বাচন হবে। সেই আসনে মেদিনীপুরে লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপকে প্রার্থী করে জিতিয়ে এনে বিরোধী দলনেতা করতে চাইছে আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। উপনির্বাচনের মাধ্যমে দলবদলু শুভেন্দুর বদলে দিলীপকে বিরোধী দলনেতার দায়িত্বে নিয়ে আসা হোক, এমন প্রস্তাব দিল্লিতে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে খবর, বাংলার ৩৪টি আসনে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। ৩৪ জনের মধ্যে মাত্র সাতজন জিতেছেন। আদি বিজেপি কর্মীদের দাবি, বাংলায় দলের চরম বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বিরোধী দলনেতার নেতৃত্ব, তাঁর পরামর্শ মেনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একের পর এক বঙ্গ-বিরোধী সিদ্ধান্ত। এতে সাধারণ বাঙালির কাছে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি আরও প্রকট হয়েছে। মানুষের ক্ষোভের ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছে বিজেপি।
এনডিএ জোট সরকার গঠনের পরই সাংগঠনিক রদবদল শুরু করবে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির সভাপতির পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা পদেও পরিবর্তন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে আরএসএস। শুভেন্দু বিরোধী দলনেতার পদে বসে অমিত শাহর আশীর্বাদে ক্ষমতাশালী হয়ে দিলীপ ঘোষের মতো আদি বিজেপি নেতাদের কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা ভোটের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রস্তাব মেনে বঙ্গ বিজেপির সফলতম সভাপতি দিলীপকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে দায়িত্বে আনা হয়। তারপর থেকে রাজ্যে যতগুলি উপনির্বাচন, পৌর এবং পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোট হয়েছে, প্রত্যেকটিই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। দিলীপকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করার পর থেকেই ক্ষোভে ফুটছিল আদি বিজেপি শিবির, শোনা যায়; জেতা আসনে দিলীপকে সরানোর নেপথ্যে ছিল শুভেন্দু। দিলীপ হারতেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে আরএসএস এবং আদি বিজেপি শিবিরে। বিরোধী দলনেতার পদে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আসতে মরিয়া সংঘ।