দলবদলুদের প্রত্যাখ্যান! দেশের রায়ে BJP-র পালটিবাজদের বুড়ো আঙুল দেখাল আম জনতা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিরোধীদের ভাঙতে মোদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতেন ইডি, সিবিআইকে। অনেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়ে দল বদলেছেন। পদ্মে গিয়ে টিকিট নিয়েছেন, ভোটে লড়েছেন। পরাজয়ের মুখ দেখলেন প্রায় সকলেই। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা শিন্দে গোষ্ঠীর ইয়ামিনি যাদব থেকে বাংলার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়, ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের প্রদীপ যাদব থেকে রাজস্থানে বিজেপির জ্যোতি মির্ধা। তের জনের মধ্যে নয় দলবদলু প্রার্থী, যাঁদের বা যাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো তদন্ত করছে। লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা হেরে গিয়েছেন।
১৩ জনের মধ্যে আট জন দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছেন। সাত জন গিয়েছেন কংগ্রেস এবং একজন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন। দু’জন শিবসেনা (উদ্ধব) থেকে বিজেপির শরিক শিবসেনা (শিন্দে) গোষ্ঠীতে গিয়েছেন। একজন ওয়াইএসআরসিপি থেকে টিডিপিতে গিয়েছেন। তদন্তের অধীনে থাকা আট জনের মধ্যে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছ’জন নির্বাচনে হেরেছেন। রাজস্থানের নাগৌরের জ্যোতি মির্ধা, উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের কৃপাশংকর সিং, কলকাতা উত্তরের প্রার্থী তাপস রায়, অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকুর প্রার্থী কোথাপল্লি গীতা, পাতিয়ালার প্রার্থী প্রনীত কৌর, ঝাড়খণ্ডের সিংভূমের গীতা কোড়া বিজেপিতে গিয়ে হেরেছেন।
তাপস রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে অভিযান চালায়। মার্চের প্রথমে তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি তাঁকে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে। তৃণমূলের সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের কাছে তিনি পরাজিত হন।