পূর্ব রেলের কর্তাদের একাংশের সঙ্গে শিয়ালদহ ডিভিশনের অফিসারদের চরম বিরোধের খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রীদের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবারেও একই ছবি শিয়ালদহ স্টেশনে। শুক্রবারের মতোই বহু ট্রেন বাতিল থাকায় ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। শিয়ালদহ উত্তর এবং মেন শাখায় বহু ট্রেন দেরিতে আসছে। অনেক ট্রেন আসছেও না। ভিড়ের চাপে অনেকে সেই ট্রেনে উঠতেও পারছেন না। যার জেরে ভিড় বাড়ছে মেট্রো ও বাসে।
পূর্ব রেলের কর্তাদের একাংশের সঙ্গে শিয়ালদহ ডিভিশনের অফিসারদের চরম বিরোধ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার তার খেসারত দিতে হল লক্ষ লক্ষ রেলযাত্রীকে। এমনকী, ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যাত্রীর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শিয়ালদহ স্টেশনের পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে জরুরি কাজ চলবে বলে ঘোষণা করেছিল রেল। সেই ঘোষণায় কোনও ট্রেন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়নি। কিন্তু এদিন দেখা গেল, ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদহ মেইন ও নর্থ শাখায় পরের পর ট্রেন বাতিল হচ্ছে। এর ফলে গোটা শিয়ালদহ ডিভিশনে রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ। সূত্রের দাবি, আজ, শনিবার শিয়ালদহের ওই শাখায় ৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। ১৪৭টি ট্রেন দমদম কিংবা দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে যাত্রা শুরু কিংবা শেষ করবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পূর্ব রেলের হেড কোয়ার্টার ফেয়ারলি প্লেসের সঙ্গে শিয়ালদহ ডিআরএম অফিসের সংঘাতের দামই কি এভাবে চোকাতে হচ্ছে যাত্রীদের?
পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, ‘হেড কোয়ার্টারের অফিসারদের একাংশ শিয়ালদহ ডিভিশনের সুনাম নষ্ট করতে সচেষ্ট। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত আগাম ঘোষণা করা হয়নি।’ তিনি আরও দাবি করেন, গত বুধবারই এই কাজের জন্য পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। পূর্ব রেলের তরফে প্রথমে সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর একটি লিখিত বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। গোটা ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত। বিষয়টি নজরে আসার পরই শিয়ালদহ ডিভিশনের তরফে উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ জানানো হয়।