‘‘আর যাই হোক, পলাতক নই’’ বলছেন সৃজন!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তৃণমূলের সায়নী ঘোষের থেকে ‘বেশ ভালো’। সিপিএমের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর অনেককেই এরকম বলতে শোনা গিয়েছিল সৃজন ভট্টাচার্যকে নিয়ে। কিন্তু, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল সেই সায়নী ঘোষই সৃজনকে গোল দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। শুধু তাই নয়, সায়নীর নিকটম প্রতিপক্ষও হয়ে উঠতে পারলেন না সৃজন।
এবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘হেরেছি। তবে হাল ছাড়িনি। খুব কঠিন লড়াইতে, ময়দানে থাকতে এসেছি। জিততে শিখতে এসেছি। এখানে কোনও শর্টকার্ট নেই। ইউ-টার্ন তো একেবারেই নেই। রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লার কবিতার মতো-‘‘আর যাই হোক, পলাতক নই…’’।
একই সঙ্গে সৃজনের কথায়, আইএসএফ-ভাঙর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় আলাদা লড়ে সিপিআই(এম) এবং আইএসএফ, দুজনেরই ভোট কমেছে বলেই দাবি তাঁর। যাদবপুরবাসীর উদ্দেশ্য সৃজনের বার্তা,” হেরেছি। তবে, হাল ছাড়িনি। খুব কঠিন লড়াইতে, ময়দানে থাকতে এসেছি। জিততে শিখতে এসেছি। এখানে কোনও শর্টকার্ট নেই। ইউ-টার্ন তো একেবারেই নেই । রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতার মতো – “আর যাই হোক, পলাতক নই…”।
সৃজনের কথায়, “যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা আছে। তার মধ্যে ৬টি বিধানসভা এলাকায় ২০২১-এর তুলনায় সামান্য হলেও ভোট বেড়েছে আমাদের। ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় আলাদা লড়ে সিপিআই (এম) এবং আইএসএফ, দুজনেরই ভোট কমেছে। যে ২,৫৮,৭৩২ জন সহনাগরিক ভোট দিলেন আমাদের – তাঁদের ধন্যবাদ। যাঁরা ভোট দিলেন না, তাঁদেরও ভরসার যোগ্য হয়ে উঠতে চেষ্টা করব আগামী দিনে। আমি এই ভোটের ফলাফলকে রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবেই দেখব। তবে, এখান থেকেই নতুন উদ্যমের উপাদানও খুঁজতে চাইব।”
সৃজনের কথায়, ‘এই ৭৭ দিন ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এক বিপুল শিক্ষণীয় জার্নি হয়ে থেকেছে। এত মানুষের ভালবাসা, স্নেহ ও পরামর্শ পেয়েছি, যা আমার সারাজীবনের পাথেয় হয়ে থাকল। যাদবপুরের যে কোনো মানুষ, তাঁর প্রয়োজনে আমার সাথে, আমাদের সাথে, যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আছি। আমরা থাকব। ইউ-টার্ন নেব না!’