১৬৩ বছরে পদার্পণ বাগবাজারের বাদলচন্দ্র বৈরাগীর বাড়ির শীতলাপুজোর
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাদলচন্দ্র বৈরাগীর বাড়ির শীতলা পুজো ১৬৩ বছরে পড়ল। এই পুজো শুরু হয়েছিল স্বপ্নাদেশ থেকে, পল্লিতে রোগ‑ব্যধি দূর করার জন্য মা শীতলাদেবী গৃহকর্তা বাদলচন্দ্র বৈরাগীকে বাড়ির ঠাকুর ঘরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে নিত্যপুজোর নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বপ্নে। ঠাকুরঘরের বেদিতে মূর্তি পশ্চিমমুখী করে বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। স্বপ্নাদেশ পেয়ে, বাগবাজারের দুর্গাচরণ মুখার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা বাদলচন্দ্র মায়ের মূর্তি গড়ার জন্য কুমোরটুলিতে যান। তৈরি হয় মূর্তি। পশ্চিমমুখী গঙ্গার দিক করে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর থেকে প্রতি বছর শীতলার আরাধনা চলে আসছে বৈরাগী বাড়িতে।
১৩ জুন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, সেই উপলক্ষ্যে ধুমধাম করে পুজো হয়। মায়ের অঙ্গরাগ হয়।মন্দির সেজে ওঠে। মায়ের কোলে থাকা বিশাল পিতলের কলসি পালিশের কাজ চলছে। মন্দিরটি নবরূপে সংস্কার করা হয়েছে। রঙ করা হচ্ছে মন্দিরে।
এখানে কোন অন্নভোগ নিবেদন করা হয় না। বলি প্রথাও নেই। রীতি মেনে নৈবেদ্য সহকারে ফল‑মিষ্টি দিয়ে মায়ের পুজো হয়। বিশেষ হোম হয়। মায়ের বন্দনা সহ আরতি হয় সন্ধ্যায়। প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই পুজো হয়। মানুষের বিশ্বাস, মা এই এলাকাকে শান্ত রাখেন ও নানা অসুখ‑বিসুখ থেকে রক্ষা করেন।