বিধায়ক পদ ছাড়লেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত চার সাংসদ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিধায়ক পদ ছাড়লেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত চার জন সাংসদ। সোমবার বিধানসভা এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদত্যাগ পত্র যান তাঁরা। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং পার্থ ভৌমিক। তবে এখনই রাজ্যের সেচমন্ত্রীর পদ থেকে সরছেন না পার্থ। বরং ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করতে তাঁকে ও দেবকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর।
রাজ্যের একাধিক বিধায়ককে লোকসভা ভোটের যুদ্ধে নামিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ‘ডিসটিংশন’ নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন। সংসদে বাংলার মানুষের হয়ে লড়তে গেলে বিধায়ক পদ ছাড়তে হবে। কেউ কেউ মনোনয়ন পত্র দেওয়ার সময়ই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কেউ কেউ ভোটে জেতার পর পদ ছাড়ছেন।
কোচবিহার লোকসভা আসনে জয়ী গয়েছেৱ তৃণমূলের জগদীশ বসুনিয়া। ২০২১ সালের নির্বাচনে কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল শাসকদল। বিদায়ী সাংসদকে পরাস্ত করে দিল্লি যাওয়া নিশ্চিত করেছেন জগদীশ। তাই নিয়মমাফিক বিধায়ক পদ ছাড়লেন তিনি।
রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে এ বার ব্যারাকপুর লোকসভায় প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে জিতেছেন তিনি। পার্থ নিজের বিধানসভার পদ ছেড়ে দিলেন। মেদিনীপুরের বিধায়ক অভিনেত্রী জুন মালিয়াকে মেদিনীপুর লোকসভায় প্রার্থী করা হয়েছিল। তিনি বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালকে পরাজিত করে সংসদে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন। নিয়মমাফিক সাংসদ পদে শপথগ্রহণের আগে বিধায়ক পদ ছাড়া বাধ্যতামূলক। সেই নিয়ম মেনে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।