ডানা ছাঁটা হল বাংলার দলবদলু গেরুয়া নেতার, সঙ্ঘ ও BJP-র জোড়া তোপের মুখে কে?
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/06/1000389510-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একদিকে মন্ত্রিসভার শপথ চলছে, অন্যদিকে তখন বঙ্গ বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় দলবদলু নেতাকে রীতিমতো ধমক পর্ব চলল। একুশের বিধানসভার পর চব্বিশের লোকসভা ভোটেও বাংলায় বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার বিজেপি ও সঙ্ঘের তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যের এক দলবদলু শীর্ষনেতা। বিজেপি ও সঙ্ঘের নেতারা তাঁকে সাফ জানিয়েছেন, রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বিষয়ে কোনওভাবেই নাক গলানো যাবে না। বিজেপির পরিষদীয় দল নিয়েই থাকার নিদান দেওয়া হয়েছে।
বাংলায় উনিশের তুলনায় ছ’টি লোকসভা আসন কমে যাওয়ার দায় দলবদলু নেতার উপরই চাপানো হয়েছে বলে খবর। দিল্লির নেতাদের আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি জনপ্রতিনিধি তৃণমূলে নাম লেখাতে পারেন। সম্ভাব্য ভাঙন ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ দিল্লির তরফে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে ওই নেতাকে।
রাজ্য বিজেপির অন্দরে শোনা যায়, শেষ তিন বছরে সেই দলবদলু নেতার ইচ্ছেতেই দলের যাবতীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে নিজের কয়েকজন নেতাকে ঠাঁই করে দিতে তিনিই প্রথম লবি করেছিলেন বলে শোনা যায়। সেই নেতাদের মাধ্যমে দলের দৈনন্দিন সাংগঠনিক কাজকর্মে সরাসরি বা পরোক্ষে তাঁর মতামত চাপিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বাছাইয়ে ওই নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। বিজেপির সাতটি মোর্চা, সাংগঠনিক জেলা, এমনকী মণ্ডল সভাপতি পদে নাম ঘোষণার আগেও ওই দলবদলু নেতার অনুমোদন জরুরি হয়ে উঠেছিল। সংগঠনে প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা। সমান্তরাল দল চালানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি টাকা নিয়ে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠতে শুরু করে। নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওই নেতার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর পছন্দের অনেকে টিকিট পেলেও অধিকাংশই হেরেছেন। দিল্লি তাঁর ডানা ছেঁটে দিল! এবার দেখার কোন পথে চলে রাজ্য বিজেপি।