উধাও ‘মোদী পরিবার’! সঙ্ঘের হুঁশিয়ারিতে আমিত্বের ব্র্যান্ড নির্মাণ বন্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দলের চেয়ে আমি বড়, কার্যত নিজের ব্র্যান্ড গড়ছিলেন মোদী। এনডিএ সরকার, বিজেপি সরকারকে চাপা দিয়ে হয়ে মাথাচাড়া দিয়েছিল মোদী সরকার। সরকারের প্রতিশ্রুতি হয়ে উঠেছিল মোদীর গ্যারান্টি। ভোটের ফলে ধাক্কা খেতেই আমিত্বের অবসান ঘটতে শুরু করেছে। মোদী নিজেই তাঁর নয়া সরকারের প্রথম দিনে দল ও তাঁর ভক্তবৃন্দকে নির্দেশি দিয়েছেন, কেউ যেন নিজেদের নামের সঙ্গে মোদী পরিবার শব্দবন্ধ আর না যুক্ত করেন। মোদীর বার্তা, সকলের ভালোবাসা তাঁকে ভোটের সময় শক্তি দিয়েছে। দেশবাসী এবার এনডিএকে গরিষ্ঠতা দিয়েছে। ওই শব্দবন্ধ বাদ যাবে। আমিত্বের পূজারী মোদী হঠাৎ আমরায় বিশ্বাসী হয়ে উঠলেন কেন? রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের চাপ? সঙ্ঘ কি মোদীকে কোণঠাসা করতে নেমেছে, আর সে’কারণেই ভোলবদল।
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতা-কর্মী মন্ত্রী ও সমর্থকদের মধ্যে নিজেদের নামের পাশে মোদীর পরিবার লেখার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। ভোটের ফলে বিপর্যয়ের পর এখন নিজেই তা সরিয়ে নিতে বললেন মোদী! সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বলেছেন, স্বয়ংসেবক হতে হলে বিনয়ী হতে হবে, ঔদ্ধত্য বর্জনীয়। এখানে আমিত্বের জায়গা নেই। সঙ্ঘের মুখপত্র অর্গানাইজারের সাম্প্রতিক সংখ্যায় তুলোধোনা করা হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। বলা হয়েছে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, অহংকার এবং মাটির সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলে এরকমই হয়। শুধুই বড় বড় স্লোগান, পোস্টার আর সেলফিতে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায় না। মাটিতে নেমে কাজ করতে হয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কর্মীদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে? হয়নি। বিজেপি ধরেই নিয়েছে আরএসএস বোধহয় বিজেপির ফিল্ড ওয়ার্কার। ভুলে গিয়েছে যে, সঙ্ঘ কারও কর্মী নয়।
সঙ্ঘের সদস্য রতন শারদা লিখেছেন, বিজেপির অতিরিক্ত ইগোকেন্দ্রিক নেতৃত্ব মনে করে, তারাই শুধু রাজনীতি বোঝে। আরএসএস কর্মীরা বোধহয় নিছক গ্রাম্য ভাঁড়। দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ পুরনো কর্মীদের গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। বাড়তি নির্ভরতা দেখানো হয়েছে নতুন যুগের সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক ও সেলফিকেন্দ্রিক কর্মীদের উপর। যা প্রবল ক্ষতি করেছে বিজেপির। মোদীর আমিত্ব আত্মঘাতী হয়েছে বিজেপির জন্য, সাফ কথায় এমনটাই বলতে চাইছে বিজেপি।