রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

MCC উঠতেই বাংলার এক কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা পাঠাতে শুরু করল রাজ্য

June 13, 2024 | 2 min read

ছবি: ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোট পর্ব মিটেছে, এতদিন আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় উন্নয়ন ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের কাজ থমকে গিয়েছিল। এবার জোরকদমে সে কাজ আরম্ভ হয়েছে। রাজ্যের এক কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাঠানো শুরু করল নবান্ন। জানা যাচ্ছে, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষককে খরিফ চাষের জন্য ২,৯০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বছরে দু’দফায় টাকা দেওয়া হয়। কৃষি জমির পরিমাণ অনুযায়ী, একজন কৃষক বছরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা করে পান এই প্রকল্পে।

এছাড়াও বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের আওতায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ২ লক্ষ ১০ হাজার কৃষককে ২৯৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বিমা প্রকল্পের জন্য কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হয় না। রাজ্যই তা দেয়। এতদিন আলু চাষিদের অল্প টাকা প্রিমিয়াম বাবদ দিতে হত। চলতি অর্থ বছরের রাজ্য বাজেটে তা তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। ফলে আগামী মরশুম থেকে আলু চাষিদের আর প্রিমিয়াম দিতে হবে না।

২০১৯ সালে কৃষকদের জন্য এই দুই প্রকল্প চালু করে রাজ্য। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮,২৩৪ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কোনও কৃষক ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মারা গেলে তাঁর পরিবার এককালীন ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পান। এখনও পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ১২ হাজার কৃষক পরিবার এই খাতে মোট ২,২৪০ কোটি টাকা পেয়েছে। বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি কৃষক ৩,১৩৩ কোটি টাকা পেয়েছেন।

জমির মালিক নন, এমন বর্গাদার বা ভাগচাষিরাও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পান। কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রকল্প রয়েছে, তাতে জমির মালিকই কেবল সুবিধা পান। মৃত কৃষকের জন্যও কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে। এই কারণগুলোর জন্যেই মনে করা হয়, রাজ্যের প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Krishak Bandhu, #West Bengal, #farmers, #West Bengal Govt

আরো দেখুন