আসন এক, টিকিটের দাবিদার ১৭-১৮ জন! বাগদা উপনির্বাচন নিয়ে গুঁতোগুঁতি BJP-র অন্দরে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার চার কেন্দ্র-সহ দেশের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই বিধানসভা কেন্দ্র এই মুহূর্তে বিধায়ক শূন্য। সেখানে উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই এলাকায় প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। স্থানীয় এলাকায় সুদখোর হিসাবে পরিচিত বিজেপি নেতা হারাধন হালদার ও বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারগুলিতে দাবি করা হয়েছে, এই দুই নেতাকে যেন উপনির্বাচনে প্রার্থী করা না হয়।
বাগদা বিধানসভার আশারু, জিয়ালা মোড়, চোয়াটিয়া-সহ একাধিক জায়গা ওই পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে। পোস্টার লেখা হয়েছে, বাগদা বিধানসভায় ‘সুদখোর’ হারাধন হালদারকে চাই না। অন্য পোস্টারে লেখা আছে, বাগদা বিধানসভায় তৃণমূলের ‘দালাল’ দুলাল বরকে চাই না। দুই পোস্টারের তলায় লেখা, প্রচারে ভারতীয় জনতা পার্টি। এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী হারাধন হালদার আবার বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অন্যদিকে, দুলাল বর আবার শান্তনুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী। শোনা যাচ্ছে, গাইঘাটার কোনও নেতার স্ত্রী বিজেপির তরফে টিকিট পেতে পারেন। তাঁর নাম কলকাতায় পৌঁছেছে।
শোনা যাচ্ছে, বিধানসভায় বিজেপির টিকিটের জন্য ১৭-১৮ দাবিদার রয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, এই সব পোস্টার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল। তবে এখনও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি শিবির। কিন্তু তার আগেই কোন্দল যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে বাগদা ধরে রাখা নিয়ে বিজেপি শিবিরে অনিশ্চিয়তা বাড়ছে।