রেউড়িকে খোঁচা নয়! মধ্যবিত্তকে খুশি করার রাস্তা খুঁজছেন মোদী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এক ভোটের ফলেই জোর ধাক্কা খেয়েছেন মোদী। রেউড়ি সংস্কৃতির বিরোধিতা থেকে মোদী এখন শত হস্ত দূরে! সংখ্যাগরিষ্ঠতার আস্ফালন আর নেই। সমাজের সবস্তরের মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তকে তুষ্ট করার কাজে নামতে চাইছেন মোদী। এক মাস পর বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জোর জল্পনা চলছে অষ্টম পে কমিশন নিয়ে। কমিশন গঠনের ইঙ্গিত মিলছে। সামনের বছর বাজেটেই তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্যকর হতে পারে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে। আসন্ন তিন রাজ্যের নির্বাচনের আগে প্রস্তাব খাড়া করে রাখতে পারে এনডিএ সরকার। নেপথ্যে সেই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্য।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলের সদর দপ্তর থেকে মোদী বলেছিলেন, মধ্যবিত্তই দেশের চালিকাশক্তি। সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এহেন বোধদয়ের কারণ কী? বিরোধীরা বলছেন, জোট রক্ষার দায়েই কি ভোলবদল?
অষ্টম পে কমিশন কার্যকর হলে ৪৯ লক্ষ কেন্দ্রীয় কর্মী এবং ৬৮ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী উপকৃত হবেন। ৩.৬৮ গুণ বাড়তে পারে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। ফলে ৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেসিক পে বাড়তে পারে তেমনটা হলে। আসন্ন বাজেটে আয়করে কি সরকার কোনও ছাড় দেবে? অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, এবারের বাজেট নয়, ২০২৫-র পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সিদ্ধান্ত হতে পারে আয়কর ছাড়ের। সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পগুলিকে দ্রুত কার্যকরী করার দিকেও জোর দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, লাখপতি দিদি প্রকল্পে জোর দেওয়া হতে পারে। কার্যত মোদীর এনডিএ সরকারের লক্ষ্য জনকল্যাণ, নেহাত ভোট পাওয়ার আশাই কি কারণ?