রেখা পাত্রকে দেখে ক্ষোভ উগরে দিল সন্দেশখালির মানুষ, প্রশ্ন এত দিন কোথায় ছিলেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে এসেছিলেন রেখা পাত্র। কিন্তু নদী পেরিয়ে আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে পৌঁছতে পারেননি তিনি। রাজবাড়িতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করলেও বিজেপি নেতাদের বড় অংশই তাঁকে দেখে মুখ ফেরান। অনেকেই বলছেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর দেখা পাননি। এরপর তাঁদের সংযোজন—‘এতদিন কোথায় ছিলেন বাহাদুর বেটি?’
অথচ ভোট প্রচারের সময় মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। বসিরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ভোট পর্বে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু ভোট মিটতেই তিনি সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন কলকাতার সল্টলেকে। এভাবে তিনি আর ক’দিন বাড়িছাড়া হয়ে থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি’র নেতা-কর্মীদের।
তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে শুরু করে একের পর এক অভিযোগ তুলে সন্দেশখালিতে শুরু হয় আন্দোলন। সাধারণ মানুষের এই আন্দোলনকে কার্যত হাইজ্যাক করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি’র বিরুদ্ধে। টাকা দিয়ে সেই আন্দোলনকে জিইয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপি’র মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। এই এলাকা থেকেই আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড় করায় বিজেপি। ভোটপ্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। সভায় রেখাকে ‘বাহাদুর বেটি’ বলতেও শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। রেখা কখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, কখনও আবার পুলিসকে গাছে বেঁধে রাখার হুমকিও দিয়েছিলেন। কিন্তু, তৃণমূল প্রথম থেকে দাবি করে আসছিল যে, বসিরহাট কেন্দ্রে তারাই জয়ী হবে। আদতে হয়েছেও তাই। প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে বসিরহাট লোকসভা আসনে পরাজিত হয়েছেন মোদির স্নেহধন্য রেখা পাত্র। ভোট গোনার কাজ শেষ হওয়ার আগেই তিনি গণনাকেন্দ্র ছাড়েন। আর সেই যে ছাড়েন, তারপর আর বসিরহাটের পথ মারাননি তিনি, এমনটাই অভিযোগ।