খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, মোদী সরকার নিরুত্তাপ!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আশঙ্কাই সত্যি হল। দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাজার করতে গিয়ে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের মুখের হাসি মিলিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার কেন্দ্রেরই প্রকাশিত পরিসংখ্যান। আম জনতার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল খাদ্যপণ্যের পাইকারি সূচক। মাত্র একমাসের মধ্যে পাইকারি সূচক অনুযায়ী খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে গিয়েছে ২ শতাংশ। এপ্রিলে যা ছিল ৫.৫২ শতাংশ, মে মাসে সেই পরিসংখ্যান পৌঁছেছে ৭.৪০ শতাংশে।
গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রত্যেক নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন—সামগ্রিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে না আসার প্রধান কারণ খাদ্যপণ্যের চড়া দাম। বর্ষা থেকে শীত। শীত থেকে গ্রীষ্ম। আবার বর্ষা আসতে চলল। কিন্তু আম জনতার সংসার খরচ কমল না। খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণেও এল না। গত সপ্তাহে সর্বশেষ নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকেও সবথেকে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে খাদ্যমূল্য নিয়ে। বৈঠকের পর যথারীতি রেপো রেট অপরিবর্তিত। কারণ মূল্যবৃদ্ধির হার কাঙ্ক্ষিত হারে কমছে না। আর রেপো রেট যতদিন না কমবে, ব্যাঙ্ক ঋণের ইএমআইতে চড়া সুদ গুনে যেতে হবে মধ্যবিত্তকে।
এরইমধ্যে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এসবিআই সুদের হার বাড়িয়েছে ১০ বেসিস পয়েন্ট। ফলে আজ, ১৫ জুন থেকে নতুন হার কার্যকর হবে। ফলে বাড়বে ইএমআই। ভোটের আগে মোদী সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনও উদ্বেগ অথবা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস শোনা যায়নি। আর ভোটের ফলপ্রকাশের পর? এনডিএ সরকারের আচরণ সেই একই। শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান যেখানে স্পষ্ট বলছে, খাদ্যপণ্যের দামই সবথেকে বেশি হারে বাড়ছে, সেখানে সরকার পক্ষ নীরব।