রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ইলিশের খোঁজে একে একে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দিতে শুরু করেছে ট্রলার

June 15, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে উঠে গেল গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। তারপরেই শুক্রবার সকাল থেকেই রুপোলি শস্য ইলিশের খোঁজে একে একে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দিতে শুরু করেছে ট্রলার।

দু’মাস শুনশান থাকার পর আবার ছন্দে ফিরছে মৎস্যবন্দর ও মৎস্য আহরণ কেন্দ্রগুলি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৎস্যজীবীরা সেখানে এসে পৌঁছেছেন। চলছে ট্রলার ও লঞ্চগুলিতে মাঙ্গলিক আচার, পূজার্চনা। ট্রলার, লঞ্চগুলি রং করার পাশাপাশি জাল, তেল, বরফ, খাবার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী মজুত করার কাজ শেষ। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতি গুছিয়ে নিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। সব মিলিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তাঁরা। এবছর ট্রলার, লঞ্চ ও টু-সিলিন্ডার বোট মিলিয়ে আড়াই হাজারের বেশি জলযান সমুদ্রে পাড়ি দেবে বলে মৎস্যদপ্তর সূত্রে খবর। পর্যায়ক্রমে দু’-একদিন অন্তর পাড়ি দেবে সেগুলি। বৃহস্পতিবার ‘কাঁথি মহকুমা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতি’ মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের নিয়ে বৈঠক করে। তাঁদের সরকারি নিয়ম, নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত করা হয় বলে জানান সমিতির চেয়ারম্যান আমিন সোহেল।

প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মাছের প্রজননকাল। তাই এই সময় সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরা নিষেধ থাকে। নিষেধাজ্ঞা উঠলে জীবনের রসদের খোঁজে সমুদ্রে দলবেঁধে সমুদ্রে পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। জালে ইলিশ উঠলেই দুটো পয়সার মুখ দেখতে পান মৎস্যজীবীরা। লাভবান হন ট্রলার ও লঞ্চ মালিকরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল এলাকার একটি বড় অংশের মানুষের জীবন-জীবিকা মৎস্যশিকারের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। দীঘা, শঙ্করপুর, শৌলা, পেটুয়াঘাট ও বিভিন্ন মৎস্যবন্দর থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। দু’মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সময়ে মৎস্যজীবীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য রাজ্য সরকার চালু হয়েছে ‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্প। ব্যান পিরিয়ডের দু’ মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বর্ষাকালে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ে মৎস্যজীবীদের ট্রলার ও লঞ্চ। প্রাণহানিও ঘটে। তাই মৎস্যদপ্তর ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে দুর্ঘটনা এড়াতে গভীর সমুদ্রে যাওয়া প্রতিটি ট্রলার, লঞ্চে বিপদসঙ্কেত প্রেরক যন্ত্র (জিপিআরএস ডিভাইস) এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনেক সময়ে ভুল করে ভারতের জলসীমা পেরিয়ে ট্রলারগুলি বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সে দেশের পুলিস মৎস্যজীবীদের গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়েও মৎস্যজীবীদের সতর্ক করেছে মৎস্যদপ্তর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#fish, #hilsa, #Fishing trawler

আরো দেখুন