মালদহে বার্ড ফ্লু’য়ে আক্রান্ত শিশুর বাড়ি গেলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মালদহে বার্ড ফ্লু পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্ট শিশুটির বাড়ি গেলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। শুক্রবার দুপুরে শিশুটির স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন নিয়েও খোঁজ নেন দলের সদস্য চিকিৎসক দীপঙ্কর মাঝি ও দীনেশ বিশ্বাস। তাঁদের সামনে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানান শিশুর পরিবারের লোকজন এবং কয়েক জন গ্রামবাসী। তাঁদের দাবি, শিশুটির দৈনিক অক্সিজেন জোগানের প্রয়োজন থাকলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। যদিও শিশুটির চিকিৎসার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী।
বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুটির সরীরে রাইনো ভাইরাস থাকায় সে নিয়মিত শ্বাস কষ্টে ভুগছে। শুক্রবার বিকালে ব্লক হাসপাতালের পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারের হাতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মেশিন তুলে দেওয়া হয়।মালদার কালিয়াচক চার বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে মিলেছে বার্ড ফ্লুর ভাইরা
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের সদস্য চিকিৎসক দীপঙ্কর মাঝি ও দীনেশ বিশ্বাস। হাসপাতালের কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন। পরে যান শিশুটির বাড়ি। সেই বাড়িতে বা পাশের কোথাও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেন। কারণ, শিশুটির ক্ষেত্রে বার্ড ফ্লু-র যে প্রজাতির দ্বারা সংক্রমণের ঘটনা, তা পশুপাখির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের।
তবে, শিশুটির বাড়িতে বা গ্রামে আশপাশে কোথাও হাঁস-মুরগির খামার নেই বলেই জানা গিয়েছে। দাবি, ওই বাড়িটিতে হাঁস-মুরগি পালন করাও হয় না। তার পরেও কী ভাবে শিশুটি আক্রান্ত হল, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দলের সদস্য চিকিৎসক দীপঙ্কর মাঝি বলেন, ‘‘বার্ড ফ্লু সংক্রমণের এই ঘটনাটি চার মাস আগের। চিকিৎসা কী হয়েছে, সে সবের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব ব্যাপারেই আমরা খোঁজ নিয়েছি।’’