চলতি ইউরো কাপে নজর রাখবেন যে ১০ জন খেলোয়াড়ের ওপর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফুটবলে বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইউরো কাপকে। এবারের উয়েফা ইউরোর ১৭ তম আসর বসছে জার্মানিতে। ১৪ জুন জার্মানি ও স্কটল্যান্ড ম্যাচের মধ্যে দিয়ে ২০২৪ উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইউরোতে নজর থাকবে যে ১০ খেলোয়াড়ের ওপর-
জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড) : ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডে অন্যতম ভরসা জুড বেলিংহ্যাম। ২০২৩-২৪ মৌসুমে রিয়ালের হয়ে শুধু লা লিগাতেই করেছেন ১৮টি গোল। রিয়ালের ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়েও রেখেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।
জাভি সিমন্স (নেদারল্যান্ডস) : ২১ বছর বয়সী তরুণ জাভি সিমন্স ২০২৩-২৪ মৌসুমটা খেলেছেন আরবি লাইপজিগে। দুই উইংয়েই খেলতে পারেন ডাচ এই ফুটবলার। তার শুরুটা বার্সেলোনার লা মেসিয়া অ্যাকাডেমিতে। গোলের দারুণ সব সুযোগ তৈরী করে দিতে পারেন তিনি।
রাসমুস হইলুন্ড (ডেনমার্ক) : হইলুন্ড ক্লাব পর্যায়ে খেলছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে সব মিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে নিজে ১৬টি গোল করেছেন ও দুটি গোল করতে সহায়তা করেছেন। ২০২৩-২৪ মরসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে নিয়েছেন। ইউরোর বাছাই পর্বে ডেনমার্কের হয়ে করেছেন ৭টি গোল।
কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স) : ক্লাব বদলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইউরোতে তিনি খেলতে যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হিসেবে। স্পেনের ক্লাবটির হয়ে নতুন মৌসুম শুরুর আগে এমবাপ্পে কেমন খেলেন সেদিকে নজর থকবে সমর্থকদের। এছাড়া ২০২৩-২৪ মরসুমে পিএসজির হয়ে ৪৮ ম্যাচে করেছেন ৪৪ গোল।
ফ্লোরিয়ান উইর্টজ (জার্মানি) : বুন্দেসলিগার গত মরসুমের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। ২০২৩-২৪ মরসুমে লেভারকুসেনের হয় বুন্দেসলিগ জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল জার্মান এই মিডফিল্ডারের। ১১টি গোল নিজে করেছেন এবং ১১টি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন।
কেনান ইলদিজ (তুরস্ক) : ১৯ বছরের তরুণ কেনান ইলদিজ খেলেন জুভেন্তাসে। তুরস্কের এই তরুণ ফরোয়ার্ডের দিকে থাকবে বাড়তি নজর। গেল নভেম্বরে জার্মানির বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোল করেন ইলদিজ। এই ফুটবলারের মা জার্মানির, বাবা তুরস্কের। ইলদিজের জন্ম হয় জার্মানির রেগেনসবার্গ শহরে।
ফিল ফোডেন (ইংল্যান্ড) : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২০২৩-২৪ মরসুমে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ফিল ফোডেন। ইপিএলে তিনি ১৯টি গোল করেন ও ৮টি অ্যাসিস্ট করেন। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে সিটির লিগ শিরোপা জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ইংল্যান্ড দলে তাকে হয়তো একই পজিশনে খেলাবেন কোচ সাউথগেট।
কেভিন ডি ব্রুইন (বেলজিয়াম) : বেলজিয়ামের প্লে-মেকার কেভিন ডি ব্রুইন ম্যানচেস্টার সিটির ইপিএল শিরোপা জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তার দুর্দান্ত সব পাস নাজেহাল করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের। ২০২৩-২৪ মরসুমেও ম্যানসিটির হয়ে ২৬ ম্যাচ খেলে ১৮টি গোল করিয়েছেন তিনি। নিজে গোল করেন ৬টি।
জাসকো গাভার্দিওল (ক্রোয়েশিয়া) : গাভার্দিওল সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে যোগ দেন ম্যানসিটিতে। তবে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন ভালোই। লেফট ব্যাক দিয়ে উঠে গোলও করেন। মরসুমে সিটির হয়ে গোল করেছেন পাঁচটি।
লামিন ইয়ামাল (স্পেন) : লদাতা, লা লিগায় সর্ব কনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড তারই দখলে। তাই বার্সেলোনাতে খেলা এই তরুণ উইঙ্গারের দিকে থাকবে আলাদা নজর।