পাঠ্য বই থেকে বাদ বাবরি মসজিদ, গেরুয়াকরণের অভিযোগ উঠতেই সাফাই দিতে আসরে NCERT
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গুজরাত হিংসা ও বাবরি মসজিদ ধ্বংস সংক্রান্ত সংশোধনীর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়, দেশজুড়ে চলতে থাকা তোপের মুখে সাফাই দিতে আসরে এনসিইআরটি। দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে অযোধ্যা এবং বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত সংশোধনী নিয়ে সরব বিরোধী শিবির। ইতিহাস বিকৃতি ও শিক্ষায় গেরুয়াকরণের অভিযোগে উঠছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের বিরুদ্ধে। যদিও গেরুয়াকরণের অভিযোগ মানতে নারাজ এনসিইআরটির ডিরেক্টর দীনেশ প্রসাদ সাকলানি। তাঁর সাফাই, পাঠ্য পুস্তকের ওইসব অংশ উগ্র ও হতাশাগ্রস্ত নাগরিক তৈরি করতে পারে। তাঁর মনে যা হচ্ছে, এসব প্রতিবাদ অপ্রাসঙ্গিক।
পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রশ্ন, শিক্ষার্থীরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠুক, সমাজে ঘৃণার সৃষ্টি করুক, এমন শিক্ষা দেওয়া উচিত? এটাই কি শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য? ছোট বাচ্চাদের কি দাঙ্গার কথা শেখানো উচিত?
উল্লেখ্য, পুরনো বইতে অযোধ্যা এবং বাবরি মসজিদের ইতিহাস সংক্রান্ত বিবরণ চার পাতা ছিল। নতুন বইয়ে কমিয়ে দু’পাতায় আনা হয়েছে। গুজরাতের সোমনাথ থেকে বিজেপির রথযাত্রা, বাবরি মসজিদ ধ্বংস, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, তৎকালীন উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতো বিষয়গুলি বাদ দেওয়া হয়েছে। বাবরি মসজিদ শব্দটিও ব্যবহার করা হয়নি। বলা হয়েছে, রামমন্দিরের আগে সেখানে তিনটি গম্বুজওয়ালা স্থাপত্য ছিল। নতুন বইয়ে লেখা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রামমন্দির তৈরি হয়েছে। মসজিদের জন্য আলাদা জমি দেওয়া হয়েছে।
সিবিএসই বোর্ড এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম মেনে চলে। আইসিএসসি ও আইএসসি’ও কোনও কোনও সময় এই সিলেবাস অনুসরণ করে। সিলেবাস বদলের দীনেশ প্রসাদ সাকলানির বক্তব্য, নাগরিকদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠুক, এটাই পাঠ্যপুস্তকের উদ্দেশ্য। শিক্ষার উদ্দেশ্য, উগ্র মানসিকতার নাগরিক তৈরি করা নয়। ২০২২ সালে তিনি এনসিইআরটির ডিরেক্টর হন। গত দু’বছরে সিলেবাস বদল নিয়ে বারবার সমালোচিত হয়েছে তিনি। একাধিকবার শিক্ষায় গেরুয়াকরণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।