শিল্পাঞ্চলে ধাক্কা খেল CPI(M), জোড়াফুলে এলেন সিটুর রাজ্য কমিটির সদস্য পঙ্কজ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রবিবার শিল্পাঞ্চলে জোর ধাক্কা খেল সিপিএম। এদিন সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন দীর্ঘদিনের সিটু রাজ্য কমিটির সদস্য ও সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার। রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও প্রদীপ মজুমদারের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন পঙ্কজ।
ডিওয়াইএফের পাঁচজন জেলা কমিটির সদস্য, বিভিন্ন এরিয়া কমিটির ১৮জন সদস্য, দুর্গাপুরের সিটু অনুমোদিত আটটি শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সহ ১,২০০জন এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ব্যবস্থাপনায় যোগদান হয়। দিল্লি থেকে আসেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ। দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সহ সব সদস্য, দলের ব্লক সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পঙ্কজের দলবদলের আগেই এদিন বিকেলে রানিগঞ্জে সিপিএমের পার্টি অফিসে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক হয়। পার্টির নীতির বিরোধিতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার অভিযোগে পঙ্কজকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে জানানো হয় সিপিএমের তরফে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পার্টি লাইনের বিরোধিতা করছিলেন। তাঁকে সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি সংশোধিত হননি। তিনি বিরোধীপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন। তাঁর সঙ্গে কোনও কমরেডই তৃণমূলে যোগদান করেননি। এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।
পঙ্কজ বলেন, তিনি ইসিএলের চাকরি ছেড়ে পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে পর্যন্ত গণনায় যাওয়া কর্মীদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, তিনটি কারণে তিনি দল ছাড়লেন। একশ্রেণির নেতাদের মদতে সিপিএমের ভোট বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট বেশিরভাগ বামপন্থী মানুষ মেনে নিতে পারেননি। তা নিয়ে বিরোধিতা করলেও তিনি দলের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘু ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পের কটাক্ষ করায় গরিব মানুষ থেকে সিপিএম আরও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই দুর্গাপুর পুরসভার নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরে সিপিএমের আন্দোলনের মুখ পঙ্কজ তৃণমূলে যোগদান করায়, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বাড়তি আশাবাদী শাসক দল।