দিলীপ হাজির থাকতেই কি কোর কমিটির বৈঠক এড়ালেন শুভেন্দু?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিলীপ আর শুভেন্দুর কোন্দল কি আরও প্রকাশ্যে এসে পড়ল? শনিবার ভোটের ভরাডুবির প্রথম বৈঠকে বসছিল বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটি। বৈঠকে হাজির ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দলের কোর কমিটির আরও দুই সদস্য সুভাষ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ ও নিশীথ দু’জনেই এবার লোকসভা ভোটে হেরেছেন। কিন্তু শুভেন্দুর অনুপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফলে বিপর্যয়ের পর রাজ্য বিজেপির একাংশ শুভেন্দুর দিকে আঙুল তুলেছে। দিলীপ নিশানা করেন শুভেন্দুকে। কেন্দ্র বদলের ক্ষোভ উগরে দেন দিলীপ। পাল্টা শুভেন্দুও সংবাদ মাধ্যমে বলেন, খারাপ ফলের দায় তাঁর ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। সংগঠনে তিনি কখনও মাথা গলাননি। শনিবারের বৈঠকে দিলীপের মুখোমুখিই হলেন না শুভেন্দু। বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য থাকলেও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল ছিলেন না। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা ছিলেন। বনসল না আসায় ভোটের ফলাফল নিয়ে এদিন বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি।
সূত্রের খবর, আসন্ন চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হবেন তার একটা তালিকা তৈরি করে দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে। চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য ৩জন করে সম্ভাব্য প্রার্থী অর্থাৎ মোট ১২জনের নাম দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাগদা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। তা নিয়েও দলের একাংশের আপত্তি রয়েছে। মানিকতলা কেন্দ্রে কল্যাণ চৌবের নাম প্রথম দিকেই রয়েছে। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ চলছে। বঙ্গ বিজেপির মধ্যে ফাটল আরও প্রকাশ্যে এসেছে। কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সংবাদ মাধ্যমে জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেছে আগে দলের আক্রান্ত কর্মীদের পাশে থাকতে হবে। তাই কোচবিহারে গিয়েছিলেন তিনি। কোর কমিটির বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হবে সেটাই তিনি মেনে নেবেন বলেও জানান।