কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস বিপর্যয়ের ছায়া, কীভাবে ঘটল ঘটনা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফিরে এল এক বছর আগের স্মৃতি! ২০২৩ সালের ২ জুন, ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর সিবিআই তদন্তে জানা যায়, রেলকর্মীর গাফিলতি ও সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এক বছর পর ফের একই রকম দুর্ঘটনা ঘটল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা কি যান্ত্রিক গোলযোগ না-কি সিগন্যাল বিভ্রাট? রেল কর্মীদের গাফিলতি ছিল না তো?
অসমের শিলচর থেকে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, সিগন্যাল লাল থাকায় নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়েছিল। তখনই একই লাইনে এসে পড়ে একটি মালগাড়ি। সজোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে। এক্সপ্রেসের পিছনের একাধিক বগি মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে। মালগাড়িটিও লাইচ্যুত হয়।
মনে করা হচ্ছে, লাল সিগন্যাল দেখতে পাননি মালগাড়ির চালক। সেই জন্যে একই লাইনে এসে যায় মালগাড়িটি। যে লাইনে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে, সেই লাইনে সাধারণত মালগাড়ি চালানো হয় না। মালগাড়িকে দাঁড় করিয়ে পাস করানো হয় এক্সপ্রেস। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনেই ছিল মালগাড়িটি। একই লাইনে দু’টি ট্রেন পাস করানোর পরিকল্পনা ছিল রেলের। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে রওনা করিয়ে দিয়ে তারপর মালগাড়িকে পাস করানোর কথা। তাই মালগাড়িকে লাল সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল।
রেলের তরফে প্রাথমিক অনুমান, মালগাড়ির চালক সিগন্যাল দেখতে পাননি। যার জেরে একই লাইনে এসে পড়ে মালগাড়ি। ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে। যেকোনও রেল ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকে, ইঞ্জিনের সামনে নির্দিষ্ট কোনও দূরত্বে যদি কোনও ট্রেন বা অন্য কিছু থাকে, তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়বে। অর্থাৎ ‘কবজ’! মালগাড়ির ইঞ্জিনে তা ছিল না? কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বিপর্যয়ে ফের উঠছে একই প্রশ্ন।