জল-যন্ত্রণা থেকে আম বাঙালিকে রেহাই দিতে কী পদক্ষেপ রাজ্যের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বর্ষায় জল জমার দুর্ভোগ থেকে মানুষকে রেহাই দিতে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিল রাজ্য। কোন এলাকায় কতটা জল জমে, সে সমীক্ষা চালিয়ে রেড জোন ও ইয়েলো জোন চিহ্নিত করবে পুরসভা। যেসব এলাকায় বর্ষায় বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে যায়, সেই এলাকাগুলো রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় ২৪ ঘণ্টার বেশি জল জমে থাকে, সেগুলিকে ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
বিগত বছরগুলির অভিজ্ঞতা এবং সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলাকাগুলিকে দু’টি ভাগে ভাগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে। বর্ষায় জল জমার ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে জরুরি নির্দেশ দেবে প্রশাসন। রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে এক মাস আগে থেকে কম্প্রিহেন্সিভ ড্রেনেজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে রাজ্যের সব পুরসভার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুরদপ্তর ও সুডার পদস্থ কর্তারা।
বর্ষায় জমা জলের সমস্যায় এলাকাভিত্তিক বিভাজন বাংলায় এই প্রথম, এমন উদ্যোগ বলে দাবি নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্তাদের। সমীক্ষার পর উঠে আসা তথ্য সরাসরি অনলাইনে আপলোড করা হবে। কোনও পুরসভার নির্দিষ্ট কোনও এলাকার জন্য কী ব্যবস্থা নিলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে, তা সহজেই বাতলে ফেলা যাবে।
পাশাপাশি প্রতিটি পুরসভাকে আড়াই মিটারের কম চওড়া সমস্ত নর্দমা, খাল এবং নিকাশিনালা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অনলাইনে আপলোড করতে বলা হয়েছে। অধিকাংশ পুরসভাই সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পাম্পিং স্টেশন ও পোর্টেবল পাম্প প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। নির্দেশিকা পুরসভাগুলির কাছে পৌঁছে গিয়েছে।