কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে বাংলার প্রথম সরকারি এইচএলএ ল্যাবরেটরি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অঙ্গ, অস্থি মজ্জা ইত্যাদি প্রতিস্থাপনের জন্য ক্রস ম্যাচিং ছাড়া ট্রান্সপ্লান্ট সম্ভব নয়। কারণ, ম্যাচিং না-হলে গ্রহীতার শরীর দাতার অঙ্গ বা অস্থিমজ্জা গ্রহণ করবে না। শরীরে তীব্র সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে।
হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে দাতা-গ্রহীতার মধ্যে টিস্যু ম্যাচিং করা হয়। অঙ্গ ও অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত কোনও এইচএলএ ল্যাবরেটরি গড়ে ওঠেনি। পিজি হাসপাতালে পরীক্ষা হলেও তা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাইরে থেকে টাকা দিয়ে, অনেকে এই পরীক্ষা করাতে বাধ্য হন। এই প্রথমবার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হচ্ছে রাজ্যের প্রথম সরকারি এইচএলএ ল্যাবরেটরি। সুপারস্পেশ্যালিটি বাড়ির দোতলায় ল্যাবরেটরি তৈরি হবে। প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ প্রসূন ভট্টাচার্যের আশা আগামী এক বছরের মধ্যে ল্যাবরেটরি চালু হয়ে যাবে। শুধু বাংলা কেন, গোটা পূর্ব ভারতের সরকারি ক্ষেত্রে এমন ল্যাবরেটরি আগে হয়নি। ল্যাবরেটরির নাম ঠিক হয়েছে ট্রান্সপ্লান্ট ইমিউনোলজি অ্যান্ড এইচএলএ ল্যাব।