জোট রক্ষার দায়! শরিকের চাপে বাতিলের পথে অগ্নিবীর প্রকল্প?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকার যতটা অনড়, মোদীর নেতৃত্বাধীন নয়া এনডিএ সরকার ততটাই নমনীয়! সবটাই কি জোট রক্ষার দায়? তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই বদলে গিয়েছে মোদীর অনড় মনোভাব। অগ্নিবীর প্রকল্পে কী কী পরিবর্তন আনা সম্ভব, তার উদ্যোগ শুরু করেছে এনডিএ সরকার। শরিকি চাপকেই কারণ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লোকসভা নির্বাচনের আগেও অগ্নিবীর প্রকল্প বাতিলের দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু মোদী সরকার তখন আমলই দেয়নি। এবার বিরোধীদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে খোদ বিজেপির জোটসঙ্গীরাই। নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল, চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) সরাসরি বিজেপিকে চাপ দিয়েছে যে, অগ্নিবীর নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হোক। যুবসমাজের মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। শরিকদের দাবি মেনে কিছু পদক্ষেপ করতে পারে এনডিএ সরকার।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আগেই বলেছিলেন, প্রয়োজন মনে হলে অগ্নিবীর প্রকল্পের সংস্কার করা হবে। আর্মি, এয়ারফোর্স এবং নেভি; তিন বাহিনীকে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাহিনীর অভ্যন্তরে এই প্রকল্প নিয়ে কী মনোভাব রয়েছে তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট চেয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রিপোর্ট হাতে আসার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। প্রকল্পটি বাতিল করা না হলেও, অগ্নিবীরদের রেগুলার সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে কোনও মধ্যপন্থা নেওয়া হতে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। জোটশরিকদের তুষ্ট করতেই বদল আনা হবে।
শরিকরা সরকারের উপর চাপ দিচ্ছে কেন? আগামী বছর বিহারে বিধানসভা ভোট। অগ্নিবীর প্রকল্প ঘোষণা হতেই সবথেকে বেশি প্রতিবাদ, আন্দোলন ও বিক্ষোভ হয়েছিল বিহারে। এবার বিহারের অন্যতম প্রধান দুই রাজনৈতিক দল এনডিএ সরকারের মন্ত্রিসভায়। অগ্নিবীর প্রকল্পকে হাতিয়ার করে প্রচার চালাতে পারে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। চলতি বছর হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। দুই রাজ্যে এবার আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড থেকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের প্রবণতাও বেশি। ফলে সেখানেও অগ্নিবীর ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। শক্তিশালী বিরোধী এবং জোটশরিকদের প্যাঁচে, এই জোড়া চাপ পিছু হঠছে নয়া সরকার।