শিক্ষা খাতে বাংলার প্রাপ্য ২ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতে বাংলার প্রাপ্য ২ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আগের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ক্ষমতায় না এলেও বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট সরকার হয়েছে কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ মনোভাব দেখানোর ক্ষেত্রে মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারও একই অবস্থানে রয়েছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের কর্তাদের। প্রাপ্য ২০০০ কোটি টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে নবান্ন। টাকা আটকে রাখা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বাংলায় বারবার ভোটে হেরে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের পেটে কার্যত লাথি মারতে চাইছে বলে মত তাঁর।
তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্র বারবার ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্পের সঙ্গে স্কুলশিক্ষার অন্যান্য প্রকল্পগুলি জুড়ে দিতে চাইছে। ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্পের পুরো নাম ‘প্রাইম মিনিস্টার্স স্কুলস ফর রাইজিং ইন্ডিয়া’। জাতীয় শিক্ষানীতির অংশ হিসেবে এই প্রকল্পের অধীনে দেশজুড়ে ১৪ হাজার ৫৯৭টি স্কুল চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক। স্কুলগুলি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবেই চলবে। কিন্তু প্রকল্পের ৪০ শতাংশ ব্যয়ভার রাজ্যকে বহন করতে হবে। এই কারণে বিভিন্ন রাজ্য বেঁকে বসে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষর করেনি তারা। জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধী কেরলের কয়েকশো কোটি টাকা এই কারণে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি কেরল ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্প মেনে নিয়েছে। কিন্তু তাতেও বকেয়া টাকা মেলেনি বলে খবর। পাশাপাশি বাংলাও কেন্দ্রের সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষরের পথে হাঁটেনি।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘যে প্রকল্পে রাজ্যও ৪০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে, সেটির নাম পিএমশ্রী-সিএমশ্রী করা হোক। অথবা, একটি প্রকল্পে মউ স্বাক্ষর না করার জন্য অন্য প্রকল্পের অর্থ আটকে রাখার শর্ত বাতিল করুক কেন্দ্র। আমরা জানি, শিক্ষামন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক থেকে বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ ছেড়ে দেওয়া হলেও পিএমশ্রী প্রকল্পের মউ স্বাক্ষর না করায় পশ্চিমবঙ্গকে সেই অর্থ থেকে দেওয়া হচ্ছে না।’