রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ধুঁকছে বাটুল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শাঁখা শিল্প

June 20, 2024 | 2 min read

কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ধুঁকছে বাটুল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শাঁখা শিল্প

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যের বহু মানুষের রুজিরুটি নির্ভর করে কুটির শিল্পগুলির উপর। বাংলার বিভিন্ন জেলার ছড়িয়ে রয়েছে বহু কুটির শিল্প। অনেক সময়ই বিভিন্ন ধরণের সমস্যার মধ্যে দিয়েও যেতে হয় কুটির শিল্পগুলিকে। কখনও কাঁচামালের অভাব, কখনও আবার দক্ষ কারিগরের অভাব, তো কখনও আবার তৈরি হওয়া সামগ্রী বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সমস্যা। এই ধরণের নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় কুটির শিল্পকে। যেমন হাওড়ার বাগনানের বাঁটুল গ্রামের শাখা শিল্প।

বাগনানের বাঁটুল গ্রামের শঙ্খ শিল্পীদের সুনাম রয়েছে জেলাজুড়ে, রাজ্যে, রাজ্যের বাইরেও। একসময় এই গ্রামের কয়েকশো পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বর্তমানে কাঁচামালের অভাবে এই প্রাচীন শিল্প ধুঁকছে। দক্ষ কারিগরের সংখ্যা কমেছে। নতুন প্রজন্মও শাঁখা তৈরিতে আগ্রহ হারাচ্ছে। দু’য়ে মিলে শাঁখের করাতের কবলে পড়েছে বাঁটুল গ্রামের শঙ্খ শিল্প।

সমুদ্র থেকে শাঁখ তুলে সেটিকে প্রথমে পালিশ করে গায়ের ময়লা সাফ করা হয়। এরপর সাদা শাঁখ কেটে তৈরি হয় হাতের বালা। যন্ত্রের সাহায্যে সেই বালাতে ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়। সেই শাঁখার বালা এ রাজ্য তো বটেই ভিন রাজ্যেও যায়। তবে ন’য়ের দশকের সময় থেকে শাঁখের আমদানি কমছে। ফলে বেশি দাম দিয়ে শাঁখ কিনতে হয় শঙ্খ শিল্পীদের। ফলে লাভ কমতে থাকে। ফলে এই শিল্প ক্রমশ ধুঁকতে শুরু করে। আগে বাঁটুল গ্রামের কয়েকশো পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার শাঁখা বানাচ্ছেন। এভাবে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

শিল্পী রবীন্দ্রনাথ বসু বলেন, ‘শাঁখের দাম বাড়ায় গ্রামের শাঁখারিরা এই কাজ থেকে সরে যাচ্ছেন। আমাদের পারিবারিক প্রায় ৮৫ বছর ধরে এই শিল্পের সঙ্গে ৪৫ বছর ধরে যুক্ত। শাঁখা ভাঙা থেকে শুরু করে ডিজাইন ফুটিয়ে আমরা শাঁখার বালা তৈরি করে থাকি। তবে নতুনরা আসছেন না বলে এই শিল্পের কোনও উন্নতি হচ্ছে না।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #howrah, #Bagnan, #bantul village, #shankha industry

আরো দেখুন