অধীরের হার কি প্রত্যাশিত ছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় কংগ্রেস প্রথম বা দ্বিতীয় শক্তিধর দল না হলেও, এ রাজ্যেই এবার লোকসভা ভোটে বড় ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে দু’টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস, কিন্তু এবার তা কমে হয়েছে একটি। সবথেকে বড় বিষয় হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হার। যে বহরমপুরকে অধীর চৌধুরীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখান থেকে জিতে পাঁচ বার লোকসভায় গিয়েছেন অধীর, সেই বহরমপুরেই এবার তিনি পরাজিত হয়েছেন। তৃণমূল ভাঙন ধরিয়েছে বহরমপুরের ‘রবিনহুডের’ দুর্গে।
দেখা যাচ্ছে বাংলার এই পরাজয় নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব খুব একটায় চিন্তিত নয়। অথচ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে যে রাজ্যগুলিতে আশানুরূপ ফল হয়নি, সেরকম আটটি রজ্যে দলের হতাশজনক পারফর্ম্যান্স খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই তালিকায় রয়েছে মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক ও তেলঙ্গানা।
আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিমবঙ্গে দলের এই পারফরম্যান্সই কি প্রত্যাশিত ছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে? তাই কি আলাদা করে এই রাজ্যে ভরাডুবি কেন, সেই কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। আবার বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণও এখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, এবারের ভোটে বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ কাজ করেনি। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল বাম-কংগ্রেসের জোট। সেই কারণেই কি বাংলার ফলাফলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না কংগ্রেস? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।