রথযাত্রা উৎসবের সময় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার পরিদর্শন করবেন ASI আধিকারিকরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৮ জুলাই রথযাত্রা উৎসব। ওই দিনই বা তার পরদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার পরিদর্শন করবেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের (এএসআই) অফিসাররা। বুধবার সংস্থার তরফে এমনটাই জানানো হয়।
জগন্নাথদেবের অলঙ্কার, হীরে, সোনা আর রুপোর বিস্তর গয়না সহ দামি আসবাবপত্র গচ্ছিত রয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে। গতবার পরিদর্শনে জানা গিয়েছিল, রত্নভাণ্ডারের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল ধরেছে। সেখান দিয়ে বৃষ্টির জল ঢুকছে। এর জেরে বিপুল সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চলতি বছর পরিদর্শন করে আরও একবার রত্নভাণ্ডারের নিরাপত্তার ব্যাপারেও নিশ্চিত হতে চাইছে এএসআই।
যদিও দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে এএসআইয়ের সংশ্লিষ্ট অফিসারের সমালোচনা করেছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। তিনি বলেন, জগন্নাথদেবের স্নান পূর্ণিমা নিয়ে এদিন বৈঠক হয়। তারপর এএসআইয়ের এক অফিসার সাংবাদিকদের রত্নভাণ্ডার পরিদর্শনের ব্যাপারে জানিয়ে দেন। এই অধিকার তাঁকে কে দিল? এটা রাজ্য সরকারের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়।’ এই ঘটনা নিয়ে এএসআইয়ের ডিরেক্টরকে তাঁরা চিঠি লিখবেন বলেও জানান।
ওড়িশার সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার ছিল অন্যতম বড় ইস্যু। ২০১৮ সালে রত্নভাণ্ডারের চাবি হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এজন্য তৎকালীন নবীন পট্টনায়ক সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপি। এবার সরকার বদলেছে। অনেকেই বলছেন, জগন্নাথদেবের সম্পত্তি কত, তা খতিয়ে দেখতে এবার তৎপর বিজেপি সরকারও। মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছেই রয়েছে ওই রত্নভাণ্ডার। বলা বাহুল্য, সেটিই গোটা মন্দিরের সবথেকে মূল্যবান চত্বর। মন্দির সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৯৭৮ সালের পর জগন্নাথদেবের অলঙ্কারের সঠিক কোনও হিসেব হয়নি।