শপথের সময় চেয়ারে বসবেন না সুদীপসহ বিরোধী দলের তিন ডেপুটি স্পিকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অষ্টাদশ লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব পেয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাব। তাঁকে প্রোটেম স্পিকার (অস্থায়ী অধ্যক্ষ) হিসাবে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এবার লোকসভা ভোটের মধ্যেই ‘হাওয়া’ বেগতিক বুঝতে পেরে নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি ছেড়ে বিজেপিতে সামিল হন ‘হাওয়া মোরগ’ হিসাবে পরিচিত প্রবীণ সাংসদ। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, দলবদলের পুরস্কার হিসাবে তাঁকেই লোকসভার অধ্যক্ষ পদে বসাতে চাইছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এদিন আচমকাই প্রোটেম স্পিকার হিসাবে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানোর পাশাপাশি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনে মূলত প্রিসাইডিং আধিকারিকের ভুমিকা পালন করেন প্রোটেম স্পিকার।
গত বৃহস্পতিবার নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন সংসদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। নব নির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠের বিষয়ে প্রোটেম স্পিকারকে সহায়তা করার জন্য আরও পাঁচ সাংসদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই পাঁচ সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকে সাংসদ টি আর বালু, বিজেপির রাধামোহন সিংহ, ফগ্গন সিং কুলস্তে এবং কংগ্রেসের কে সুরেশ।
রীতি অনুযায়ী, সবচেয়ে প্রবীণ সাংসদই (একটানা জয়ী) প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব পান। এই পদের দাবিদার ছিলেন কেরলের কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশ। তিনি মাভেলিক্কারা আসন থেকে টানা আটবার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে প্রোটেম স্পিকার করা হয়েছে ‘ডিগবাজিবাজ’ খ্যাত কটকের বিজেপি সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাব। ১৯৯৮ সালে বিজু জনতা দলের হয়ে ওড়িশার কটক থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পরে ১৯৯৯, ২০০৪,২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনেও বিজু জনতা দলের হয়ে জয়ী হন।
স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা খুব চটেছেন এই ব্যাপারে। শোনা যাচ্ছে, শপথ চলাকালীন তিন ডেপুটি স্পিকার তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের টি আর বালু, এবং কংগ্রেসের কে সুরেশ স্পিকারের চেয়ারে বসবেন না। তাই যদি হয়, তাহলে ভর্তৃহরি মহতাবকে মাত্র দুজন ডেপুটির সহায়তা নিয়েই গোটা শপথবাক্য পাঠের কর্মসূচি সম্পন্ন করতে হবে!