রাজ্যকে বিপদের মুখে ফেলা হচ্ছে, ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদের নবীকরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা চিঠি লিখলেন মোদীকে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তিস্তা, ফারাক্কা-চুক্তি নিয়ে আলোচনা করলেন মোদী- হাসিনা। কিন্তু তাঁকে ডাকা হল না। পুরো বিষয়টা নিয়েই তাই অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতিসম্প্রতি দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যেই ১০টি মউ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে। ফরাক্কা চুক্তির মেয়াদের নবীকরণ করা হয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন সেই প্রসঙ্গে আপনাকে লিখছি। মনে হচ্ছে গঙ্গা ও তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে আপনাদের মধ্য়ে। কিন্তু রাজ্য় সরকারকে না জানিয়ে এই ধরনের আলোচনা প্রত্যাশিত নয়, ও সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
‘আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভৌগলিকগতভাবে এই সম্পর্ক। সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও এই সম্পর্ক। আমি বাংলাদেশের মানুষকে শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি।’ এরপর ছিটমহল বিনিময় চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এরপর তিনি লিখেছেন ‘জল অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। এটা মানুষের লাইফলাইন। এই সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আমরা আপোস করতে পারি না। এই ধরনের চুক্তি হলে বাংলার মানুষ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ’
‘আমি বুঝতে পারছি ভারত সরকার ইন্দো বাংলাদেশে ফরাক্কা চুক্তি( ১৯৯৬) পর্যালোচনা করতে চাইছে। এটা ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু আপনারা জানেন যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জলবন্টন সংক্রান্ত ব্যাপার। তবে এটার উপর বাংলার মানুষের জীবনযাত্রা নির্ভর করে, কলকাতা পোর্টের নাব্যতার ব্যাপার রয়েছে।’
এর আগেও ফরাক্কা ইস্যুতে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী জানান ই ফরাক্কা চুক্তি আবার বাস্তবায়িত হলে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বন্যা এবং ভাঙ্গনের সম্ভাবনা বাড়বে। এর ফলে বাংলার বহু গ্রামের মানুষ বিপদে পড়বেন।