আসলেই কি বাংলা থেকে চলে যাচ্ছে ব্রিটানিয়া? জেনে নিন সত্যিটা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় চাকরি নেই, শিল্পের অভাব বলে আক্রমণ করতেই থাকে বিরোধীরা। সুযোগ পেলেই তা নিয়ে প্রচার করতে শুরু করে রাজ্যের বিরোধীরা। তারাতলার ব্রিটানিয়া কোম্পানিতে আর তৈরি হবে না বিস্কুট! বুকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকা এই কারখানার কাজ বন্ধ হয়ে গেল। সোমবার এই খবর সামনে আসতেই আসরে নেমে পরে বিরোধীরা।
কিন্তু সত্যিই কি বাংলা থেকে চলে যাচ্ছে ব্রিটানিয়া? বিজেপি নেতাদের চাউর করা খবরের জবাব দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, এই সংস্থার অফিস এবং কারখানা ছিল কলকাতার তারাতলা এলাকায়। সেটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। কিন্তু তার মানে সেটা বাংলা ছেড়ে চলে যাচ্ছে এটা বোঝায় না। ব্রিটানিয়া সংস্থা আরও বড় আকারে লগ্নি করতে চলেছে দুর্গাপুরে। তবে রেজিস্টার্ড ঠিকানা হিসাবে রাখা হবে তারাতলার ইউনিট।
ব্রিটানিয়া সংস্থা সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে একটি প্লান্ট গড়ার অনুমতি পায়। এখন সেটার জমি চিহ্নিত হয়েছে দুর্গাপুরে। সেখানেই কারখানা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোটা দেশেই ব্রিটানিয়া নিজেদের উৎপাদন ইউনিট ছড়িয়ে দিতে চাইছে। বিস্কুট উৎপাদনের জন্য বাড়তি জায়গা লাগে। তাই জাতীয় সড়কের ধারে বড় জায়গায় কাজ করা হবে। তারাতলার আগে মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের প্লান্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আসলে কোম্পানি এখন চুক্তির ভিত্তিতে অন্যান্য উৎপাদন সংস্থাকে কাজ দিয়ে দিচ্ছে। বাংলাতেও এরকম আছে। ডানকুনিতে বড় কারখানা রয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা সামনে না নিয়ে এসে বিজেপির আইটি সেল বাংলা থেকে শিল্প এবং কারখানা চলে গেল বলে চাউর করে দিয়েছে। তাতে আরও বেশি করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় ব্রিটানিয়া সংস্থার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ‘বাংলায় অনেক বড় মার্কেট রয়েছে। এখানে উৎপাদন করার প্রয়োজন আছে। আর তারাতলার ইউনিটটি সেকেলে। সেটা সাশ্রয়ী নয়। তাই ওটা রেজিস্টার্ড অফিস হিসাবে থাকবে। আর উৎপাদনের জন্য দুর্গাপুরকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। বাংলায় এখনও তৃতীয় বৃহত্তম বাজার রয়েছে গোটা দেশের মধ্যে। এই রাজ্য থেকে ৯০০ কোটি টাকা আয় হয়।’